Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পালানোর পথ রুদ্ধ, নতুন কৌশলে হামলা করছে মিয়ানমার সেনারা

বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছে লাশের পচা গন্ধ, ২২টি গ্রাম পুরোপুরি ধ্বংস

প্রকাশের সময় : ৩ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১:০৭ এএম, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৬

ইনকিলাব ডেস্ক : মিয়ানমারের মংডুর দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে রোহিঙ্গা বুড়াসিকদার পাড়ার পাশে কিউনংটং নামক এলাকার মুসলিম জনবসতিতে গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নতুন কৌশলে তান্ডব চালিয়েছে সেনারা। হেলিকপ্টার গানশিপ থেকে রোহিঙ্গা পল্লীতে গুলি করা হয়েছে। এবারের অভিযানে নতুন কৌশল ব্যবহার করার ফলে পালাতেও পারবে না রোহিঙ্গারা। প্রতিদিনই রোহিঙ্গা মুসলিম নির্মূলে পরিচালিত কিয়ারেন্স অপারেশনে সৈন্য সমাবেশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাঁজোয়াবহরে নতুন করে যুক্ত হয়েছে হেলিকপ্টার গানশিপ, মর্টারশেলবাহী কামান ও মেশিনগান। এসব মারণাস্ত্র নিয়ে নিরস্ত্র অসহায় গ্রামবাসীর ওপর সৈন্যরা হামলে পড়ছে। ইতোমধ্যে বর্মী বাহিনীর ধ্বংস করে দেয়া গ্রামগুলো থেকে বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছে লাশ পচা গন্ধ। এরই মধ্যে ২২টি গ্রাম পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, মংডুর উত্তরাঞ্চলে সীমান্তবর্তী নাফ নদী সরু থাকায় যেসব রোহিঙ্গা প্রাণে বেঁচে গেছে তারা নতুন আশ্রয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। এতে পালিয়ে আসা নারী-পুরুষদের প্রাণ রক্ষা হলেও এবারের অভিযানে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কারো আর পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। কেননা সেনাবাহিনী দক্ষিণে ধাবিত হয়ে রোহিঙ্গাদের কোণঠাসা করে ফেলছে। এখন তাদের পালানোর একমাত্র জায়গা সমুদ্র। আর প্রাণ বাঁচাতে সাগরে ঝাঁপ দিয়েও কোনো লাভ নেই। কেননা সাগর পাড়ি দেয়া কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। নৌকা নিয়ে পালানোর চেষ্টা করলেও সেখানে ওঁৎ পেতে আছে বর্মী নৌবাহিনী। কাজেই জলে স্থলে কোথাও নিস্তার নেই রোহিঙ্গা মুসলিমদের। অনেকটা জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘের মতো অবস্থা। অর্থাৎ অবধারিত মৃত্যু। খবরে আরো বলা হয়, আরাকান রাজ্যের মংডুর আরো দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের দিকে ধাবিত হচ্ছে মিয়ানমারের সাঁজোয়া বাহিনী। ইতোমধ্যে আরাকানের মংডু, বুচিদং, আকিয়াবসহ মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকার গ্রাম-মহল্লা-পাড়াগুলোর বাড়িঘর প্রায় পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। পালিয়ে আশ্রয় নেয়া প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা পুরুষদের নির্বিচারে হত্যা, কেটে কেটে টুকরো অথবা গলা কেটে আর পিটিয়ে হত্যা করছে। আর রোহিঙ্গা নারীদের গণধর্ষণ করছে। অপরদিকে বুচিদং থানার আশপাশ এলাকার রোহিঙ্গা যুবকদের ধরতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এতে ওই এলাকায় রোহিঙ্গারা দিশেহারা হয়ে পড়ছে। ওয়েবসাইট।



 

Show all comments
  • আহমদ আলী ৩ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১১:২৫ এএম says : 0
    হায়রে মুসলমান অন্য মুসলমান ভাই বোনদের এমন করুণ অবস্হা আমরা দেখতেছি বিনা অপরাধে এমন জুলমাতি কোথায় আমাদের ঈমান???
    Total Reply(0) Reply
  • Md Meraj Al Sadi ৩ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১১:২৯ এএম says : 0
    অাজ কেন অামরা তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছি না?ভুলে গেলাম নাকি ১৯৭১ সালে ভারতের মানুষের সোহযোগিতা??
    Total Reply(0) Reply
  • Nipa ৩ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১১:২৯ এএম says : 0
    আল্লাহ হেফাযত করুন।
    Total Reply(0) Reply
  • Rajib ৩ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:১২ পিএম says : 0
    বর্ডার খুলে দিন৷ ওরা বাঁচতে চায়- ওদের বাঁচাতে সাহায্য করুন, ওরা আমাদের ভাই !
    Total Reply(0) Reply
  • বাহাউদ্দিন ৩ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:৪৪ পিএম says : 1
    সরকার বর্ডার খুলে দিক, মানুষের বিপদে তো মানুষ এগিয়ে আসবে, এটাই তো মানবতা ।
    Total Reply(0) Reply
  • ৩ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১০:১১ পিএম says : 0
    হে রাব্বুল আলামীন আল্লাহ তুমি রহম কর রহম কর তোমার রাহমান রাহীম নামের খাতিরে উছিলায়।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ