Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শেখ হাসিনা সরকারকে ভারত ক্ষমতায় রাখবে কিনা আ.লীগে সংশয় আছে

আলোচনা সভায় গয়েশ্বর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকারকে ভারত ক্ষমতায় রাখবে কিনা তা নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের বক্তব্য প্রসঙ্গে গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের এক অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।
বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে ‘বিদ্যুত-জ্বালানি সঙ্কটে বাংলাদেশ, নিয়ন্ত্রণহীন দ্রব্যমূল্য’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়। সংগঠনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে ও সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, আনোয়ার হোসেন বুলু, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সহসসভাপতি আব্দুস সেলিম, তাঁতী দলের মনিরুজ্জামান মুনির, কৃষক দলের ইসমাইল হোসেন তালুকদার প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন (একে আব্দুল মোমেন) সাহেব বলেছেন, ভারতকে বলেছি আমাদেরকে সরকারে রাখতে। অর্থাৎ ভারত তাদেরকে রাখবে কিনা এটা নিয়ে সংশয় আছে। যাদের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর, সেই সম্পর্ক যদি স্বামী স্ত্রীর হয় সেখানে তালাকে সম্ভাবনা আছে কিনা, যদি না থাকে তাহলে মোমেন সাহেব এই ধরনের উক্তি কেনো করেন?
রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গিয়ে তারা রাষ্ট্রের কথা, রাজনীতির কথা, দেশের মান-সন্মানের কথাটুকু চিন্তা না করে তারা যে ধরনের উক্তি করেন তাতে আমরা একটা স্বাধীন দেশের নাগরিক দাবি করা আমাদের কোনো অবকাশ নাই।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ঢাকার বাজারে যে কচুর দাম ৮০ টাকা সেটা কিশোরগঞ্জের বাজারে ৩০ টাকা। এভাবে প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বাড়ছে। তার পাশাপাশি একটি জিনিসের দাম ক্রমান্বয়ের কমতেছে সেই জিনিসটার নাম আপনারা জানেন কি জানেন না আমি জানি না। আমার মনে হয়, আওয়ামী লীগের দাম প্রতিদিনই কমতেছে।
এই যে লোহা-লক্কর-স্ক্র্যাপ প্রভৃতি জিনিস নিলামে বিক্রি করে না যা ব্যবহার যোগ্য না। সেখানে শত শত লোক নিলাম ডাকতে বসে। কিন্তু আজকে যদি আওয়ামী লীগের নিলাম হয় আমরা মনে হয় এটা কিনবে না কেউ।
তিনি বলেন, এখন আমরা দলের মধ্যে প্রতিযোগিতায় আছি, পরবর্তী ইলেকশনে হাউ টু সিকিউরড দ্যা নমিনেশন অর্থাৎ কীভাবে মনোনয়ন লাভ করবো সেটাই আমার দুচিন্তা, পাস করা নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তা নেই। সেই কারণেই আন্দোলনের চেয়ে প্রতি এলাকায় এলাকায় প্রার্থীদের প্রতিযোগিতা এবং দলের নেতা-কর্মীরা যারা আন্দোলন করবে তারা আন্দোলনের পথ থেকে অর্থাৎ যারা প্রার্থী হবেন তাদের পেছনে ঘুরতে ঘুরতে একটা নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করছে কিনা-এটা আমাদের ভাবতে হবে।
গয়েশ্বর বলেন, আমরা সবাই প্রতিজ্ঞা করি, রাজপথ দখল করতে হবে। কিন্তু অনেকেই সেই কথা মতো উদ্য্গো গ্রহণ করে সংগঠিত করতে পারি না যেই সাহসী যুবকেরা রাজপথে আসবে, তাদের উতসাহিত করবে। এটা কিন্তু আমাদের এক ধরনের ত্রুটি। সেই ত্রুটি থেকে আমাদের মুক্ত হতে হবে।
তিনি বলেন, আমাকে বলতে হবে আমি যেটা বলি সেটা যে আমার মনের কথা সেটা কিন্তু আমার কর্মকাণ্ড দিয়ে মানুষকে বিশ্বাস করাতে হবে, মানুষকে আস্থায় আনতে হবে। আমার রাজনৈতিক জীবনে যতদিন ধরে আওয়ামী লীগকে চিনি ততদিন ধরে বলি, আওয়ামী লীগ যাহা বলে তাহা করে না, যাহা করে তাহা বলে না।##



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গয়েশ্বর

২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ