পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নীরবে-নিভৃতে পালানো ছাড়া বর্তমান সরকারের সামনে অন্য কোনো পথ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, আমাদের ভয়ভীতি পাওয়ার কোনো কারণ নেই। চোর সবসময় ভীত থাকে। সুতরাং চোরকে চোর বললে কিন্তু রুখে দাঁড়ায় না, দৌড়ে পালায়। গোটা সংসদকে সবাই চোর বলে। সেই চোরদের সাহস থাকার কথা না, সেই চোরদের আমরা যদি উচ্চ স্বরে শুধু ‘চোর চোর’ বলি তারপর সেই চোর কেটে পড়বে। অতএব আমরা শেখ হাসিনার পতন ঘটানোর সুযোগ নাও পেতে পারি। শেখ হাসিনা নিজে নিজে কেটে পড়তে পারেন। অর্থাৎ বর্তমানে বিশ্ব রাজনীতি ও দেশীয় রাজনীতিতে তিনি যে অবস্থানে আছেন, তাতে গুছিয়ে উঠার সুযোগ আছে বলে আমি বিশ্বাস করি না। সেই কারণে নীরবে-নিভৃতে তার পালানো ছাড়া বিকল্প পথ খোলা নেই।
গতকাল সোমবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের সম্ভাবনা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) সাহস করে ভবিষ্যতে সুষ্ঠু নির্বাচন দেবেন না, তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেবেন না। যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার উদ্যোগ তিনি নিতেন তাহলে হয়তোবা ধীরস্থিরভাবে বাংলাদেশে বসবাস করে মানুষের মাঝে থাকার একটা প্রচেষ্টা নিতে পারতেন। কিন্তু সেটা নেবে না। আর সেটা নেবে না বলে তাকে দৃশ্যের আড়ালে থাকতে হবে, মানুষের চোখের আড়ালে থাকতে হবে। তাকে স্বেচ্ছায় বনবাসে যেতে হবে। এই বনবাসে কেউ তাকে পাঠাবে না। সেই কারণে আমাদের ভয়ের কোনো কারণ নেই। সূর্য ডোবার পালা। আর যারা অন্ধকারে আছেন, তাদের জন্য সূর্য উদয়ের পালা। সেটার জন্য আমরা অপেক্ষা করি।
ক্ষমতার ‘পালাবদল হবেই’ এমন আত্মবিশ্বাসের কথা শুনিয়ে গয়েশ্বর বলেন, শেখ হাসিনাকে আমরা বিতাড়িত করব, এটা তো আমাদের পণ। কেনো করব? দেশের স্বার্থে। জনগণের স্বার্থে। দলের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান রেখে তিনি বলেন, আমাদের সরকারবিরোধী আন্দোলনে দৃশ্যমান হয়ে সাহসী ভূমিকা রাখার মধ্য দিয়ে আপসহীন নেত্রীর আপসহীন কর্মীকে যদি আমরা জনগণের মনে দাগ কাটতে পারি, তাহলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সার্থক, জিয়াউর রহমান সার্থক। সেই সার্থকতাকে আমাদের প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
দোয়ার আগে ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হকের সঞ্চালনায় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। দোয়া মাহফিলে অংশ নেন বিএনপির হাবিবুর রহমান হাবিব, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, মীর সরফত আলী সপু, শামীমুর রহমান শামীম, রাজীব আহসান, আমিরুজ্জামান শিমুল, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, মহানগর বিএনপির রফিকুল আলম মজনু, হাবিবুর রশীদ হাবিব, যুবদলের সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করীম বাদরু, এস এম জাহাঙ্গীর, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, ওলামা দলের শাহ নেসারুল হক, নজরুল ইসলাম তালুকদার, ছাত্র দলের ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ কয়েকশ’ নেতা-কর্মী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।