পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য দলের সর্বস্তরে আন্দোলন কর্মসূচির দাবি থাকলেও সেই কর্মসূচির ঘোষণা না আসায় নেতাকর্মীরা নীতিনির্ধারক নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করছে না কেন এমন প্রশ্ন রেখেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, সবাই আন্দোলনের কথা বলছেন, আমরা নেতারা আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারছি না। তাহলে আপনারা আমাদের কথা শুনছেন কেন? আপনারা আমাদের বাড়িঘর ঘেরাও করছেন না কেন?
গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৫তম জন্মদিন উপলক্ষে সম্মিলিত ছাত্র ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, কথার ফুলঝুরি দিয়ে তারেক রহমান বা আমাদের নেতৃবৃন্দকে খুশি করার জন্য যদি ব্যস্ত থাকি, প্রকৃত অর্থে খালেদা জিয়ার জেলখানা হবে চিরস্থায়ী এবং তারেক রহমানের দেশান্তর হবে চিরস্থায়ী। সেই কারণেই আজকে আমাদের মূল দায়িত্ব- ‘ডু অর ডাই’, ‘মরি আর বাঁচি’- একটা কিনারা হোক।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মতো একজন একজন আপসহীন নেত্রী জেলখানায় থাকবেন আর আমরা প্যারোল আর জামিন নিয়ে কোর্ট-কাচারিতে দৌড়াদৌড়ি করব কেন? আমরা আন্দোলন করব রাজপথে, যে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তিনি কারাগার থেকে বেরিয়ে আসবেন। দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য আন্দোলনই সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ।
দলের ব্যর্থতার দিকটি তুলে ধরে তিনি বলেন, রাস্তায় নামতে পারব না কেন? কী কারণে? খালেদা জিয়া জেলখানায় গেছেন, আমরা ১০/২০/৩০/৫০ হাজার, এক লাখ লোক জেলে থাকতাম, খালেদা জিয়াকে আমরা কোন মাপকাঠিতে রাখলাম? উনি যে জেলখানায় গেছেন আমাদের মধ্যে ২/৪ জন ২০/৫০টা, ১০০টা গুলি খাইয়া রাস্তায় মরে যাইনি কেন? জয়ললিতা (ভারতের) একজন মুখ্যমন্ত্রী, তার জেল হলে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ১৩ জন নাই। তাহলে আমরা?
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের মতো নেতা, মন্ত্রী-এমপি, আরও অনেক কিছু হওয়ার পেছনে যার অবদান, তার (খালেদা জিয়া) জন্য কি আমাদের কিছু করার আছে? নাই? যদি থাকে তাহলে নিশ্চয়ই আমাদের মধ্যে যারা ধরেন সিদ্ধান্ত দেওয়ার, আমরা যারা মনে করেন সিদ্ধান্ত দিচ্ছি না তাহলে আমাদেরকে ঘেরাও করেন না কেন? আমাদের বাড়ি ঘেরাও করেন না কেন?
গয়েশ্বর বলেন, আমাদের সামনে বেশি সময় নাই। একটা ইস্যুর মধ্যে সব ইস্যু রয়েছে। সেটা হলো গণতন্ত্রের ইস্যু, খালেদা জিয়ার মুক্তির ইস্যু। এই দুইটা ইস্যু যদি ফয়সালা করতে পারি, বাকি ইস্যুগুলো ভবিষ্যতে মিটবে।
‘সম্মিলিত ছাত্র ফোরাম’র উদ্যোগে সংগঠনটির আহ্বায়ক নাহিদুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, সাবেরা নাজমুল, জাসাসের শাহরিয়ার ইসলাম শায়লা বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।