নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আগেই গুঞ্জন ছিল। অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের (এআইএফএফ) উপর যেকোন মুহূর্তে নেমে আসতে পারে ফিফার নিষেধাজ্ঞা। সেই গুঞ্জনকে সত্য করে গতপরশু রাত থেকে ফুটবলে ভারতকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করল বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ১৯৩৭ সালে গঠিত এয়াইএফএফ। এই ফেডারেশন কাজ করত ভারত সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে। ফিফা জানায় এআইএফএফের কর্মযজ্ঞে ‘তৃতীয় পক্ষের অযাচিত’ হস্তক্ষেপের কারণে এই সিদ্ধান্তে আসতে বাধ্য হয়েছে তারা। এই খড়গের কারনে ফিফার কোন টুর্নামেন্টে খেলা বা ফুটবলীয় কার্যক্রমে অংশ নেওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে ভারতকে।
প্রফুল্ল প্যাটেলের নেতৃত্বাধীন কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এআইএফএফের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে প্রফুল্ল সেই সময় গঠনতন্ত্রের সংশোধনী দাবি করে বসেন। সেই জটিলতায় আটকে যায় নির্বাচন, তাতে দায়িত্বে রয়ে যান ৬৫ বছর বয়সী এই কংগ্রেস নেতা। ফিফা যেসব মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে ফুটবল ফেডারেশনগুলো চালায়, তার একটি- ফুটবল ফেডারেশনের ওপর কোনও ধরনের আইনী বা সরকারি হস্তক্ষেপ থাকা যাবে না।ভারতের সর্বোচ্চ আদালত চলতি বছরের মে মাসে অল ইন্ডিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে তিন সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করেছিল। অন্যদিকে ফিফা ও এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন্স এলাইএফএফ সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করতে একটি দল পাঠিয়েছিল। জুলাই মাসের মধ্যে ফিফার দেখানো পথে ভারত তাদের ফুটবলের আইন সংশোধন করবে এবং সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে নির্বাচনের কাজ সম্পাদন করবে। এআইএফএফ ঠিক এমনটাই কথা দিয়েছিল এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন্সের মহাসচিব উইন্ডসর জনের সঙ্গে আলোচনায় বসে।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে অক্টোবরের ১১ থেকে ৩০ তারিখে ভারতের বিভিন্ন অঙ্গ রাজ্যে হতে যাওয়া অনূর্ধ্ব-১৭ নারী বিশ্বকাপ পড়ে গেল চরম অনিশ্চয়তায়। ২০২৩ সালে এএফসি কাপেও অংশগ্রহণ করতে পারবে না ভারত। ফিফার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাথে তারা যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা আশাবাদি, যে আলোচনার ভিত্তিতে ইতিবাচক কোনও পদক্ষেপ নিতে পারবে। সেই ক্ষেত্রে শর্ত দিয়েছে ফিফা। যদি প্রশাসক কমিটির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয় ও তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হয় এবং একই সাথে বর্তমান নির্বাহী কমিটিকে বাতিল ঘোষণা করা হয়, তবে নিষেধাজ্ঞার বেড়াজাল থেকে মুক্তি পাবে দেশটির ফুটবল। গত মে মাসে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এআইএফএফে প্রশাসকদের একটি কমিটি ঠিক করে দেয়।
এই নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে ভারতের ফুটবলের মহাতারকা বাইচুং ভুটিয়া মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন, ‘ফুটবলকে নিষিদ্ধ করাতা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। ভারতকে নিষিদ্ধ করে বেশ কঠিন সিদ্ধান্ত নিল তারা। তবে নিজেদের (এআইএফএফের) সবকিছু ঠিক করে ফেলার এটাই দারুণ সুযোগ। ভারতের ফুটবলের উন্নয়নের জন্য ফেডারেশন ও রাজ্যগুলোকে একসাথে কাজ করতে হবে।’ ভারতের বর্তমান অধিনায়ক সুনীল ছেত্রি কদিন আগেই আন্তর্জাতিক ফুটবলে গ্রেট পুসকাসের গোল সংখ্যা স্পর্শ করেছেন। ১২৯ ম্যাচে ৮৪ গোল করা এই স্ট্রাইকার দিন গুণছিলেন লিওনেল মেসিকে (১৬২ ম্যাচে ৮৬ গোল) অতিক্রম করার। এই নিষেধাজ্ঞা কি তার ক্যারিয়ারের জন্যই কাল হয়ে গেল? তিনি অবশ্য বললেন ভিন্ন কথা, ‘আমার মনে হয় এটা নিয়ে আমাদের (খেলোয়াড়) বেশি ভাবার কিছু নেই। যারা এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তারা তাদের সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করছেন। সবাই নিজ জায়গা থেকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এআইএফএফের সবাই এই ঝামেলা সবাধানের চেষ্টা করছেন। খেলোয়াড়দের দায়িত্ব হল নিজেদের কাজটা করে যাওয়া।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।