শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
ওরা মানুষ
হাসান ইকবাল
হে রব, তুমি কোথায়, আরশে নাকি মানুষের মাঝে!
তুমি কি দেখতে পাও না অত্যাচারীর বুনো উল্লাস?
প্রতিবাদী পিতার আকণ্ঠ আবেদন
মেলে দেয়া দু’টি হাত প্রগাঢ় প্রার্থনায় প্রসারিত।
হে রব, তোমার আরশ কি কেঁপে ওঠে না
এমন বীভৎস বেলেল্লাপনায়!
সময়ের সংজ্ঞা ভিজে গেছে অসহায় আর্তনাদে
বাড়িঘরে আগুন জ্বেলে, সাজানো সংসার তছনছ করে
মানুষ মেরে, আদিম উন্মাদনায় মেতেছে মত্ত হায়েনা।
বিশ্ব বিবেক নীরব-নিথর
এ যেন মানবতার চরম পরাজয়, মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়
হে রব, অসহায় মানুষের আহাজারি তুমি কি শুনতে পাও না?
ওরা শরণার্থী নয়, ওরা মানুষ।
রক্তাক্ত শিশিরের কান্না
শাহিনা কাজল
চলো যাই- রাখাইনের মঙ্ডু নগরে
ধর্ষিতা হই দলবেঁধে
মানবতা নেই ওখানে, আছে প্রেতাত্মা।
অথবা সহস্র নারীর খুবলে খাওয়া শরীর॥
চলো যাই- উত্তর আরাকানে
জীবন্ত পুড়ে আসি
অথবা নাফ নদীতে লাশ হয়ে ভাসি॥
বুলেটবিদ্ধ শরীর ছিঁড়ে খায় শরীরী আত্মা, গ্লাসভরা রক্ত॥
চলো যাই- ফায়ারিং স্কোয়ার্ডে উদোম নারী হই
অথবা আমাদের রক্তাক্ত স্তনগুলো লজ্জাহীন মানবতার শিরোনাম করি॥
চলো যাই- শিউলী ফুলের মত নিষ্পাপ শিশুদের বুকে জড়াই
অথবা রক্তাক্ত উলঙ্গ পুরুষের পুরুষাঙ্গ আঁচলে ঢেকে দিই॥
জানি আমার সাথী হবে কেউ অথবা হবে না
কেননা আমরা আমাদের মনুষ্যত্বকে ডিজিটাল করে নিয়েছি॥
সময়ের রক্তক্ষরণে আহত রক্তজবা আজ ভাসমান লাশ
রক্তাক্ত শিশিরের কান্না অথবা আমার আকুলতা পৌঁছে দিও
বুলেট প্রুফ মসৃণ মানবতার মাস্তুলে--॥
ক্ষুদ্র রাখাল
গাজী আনিস
একটা শাপলা ফুল,
একটি মেয়ের ফরসা হাতে;
মেয়েটি নৌকার ’পরে দাঁড়িয়ে-
মাঝি হাল ধরে দু’পা ছড়িয়ে।
বিশাল জলরাশি গভীরতা কম,
শাপলা ও ডুবন্ত ঘাসের গন্ধভরা জল,
কত সুন্দর দৃশ্য।
বিশাল তার বুকে কত প্রকৃতিপ্রেমী,
তার মাঝে আমি-
অবাক দৃষ্টিভরা এক- ক্ষুদ্র রাখাল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।