Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নুনিয়েজের ‘জিদান-কান্ডে’ লালকার্ড দেখা ম্যাচে ডিয়াজের গোলে লিভারপুলের ড্র

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ আগস্ট, ২০২২, ৮:১২ এএম

২০০৬ সালে ফুটবল বিশ্বকাপে ফাইনালের কথা মনে আছে?সেই মহারণে ইতালির বিপক্ষে ফেভারিট হিসেবে শুরু করা ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় খেলোয়াড় ছিলেন জিনেদিন জিদান।প্রায় একক নৈপুণ্যে ফ্রান্সকে ফাইনাল নিয়ে আসা ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই মিডফিল্ডার সেদিন এমন এক কান্ড করে বসলেন যা তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কলঙ্কিত ঘটনা হয়ে থাকবে আজীবন। সেই ম্যাচে জিদান শুধু লালকার্ড দেখে মাঠই ছাড়েননি,তাকে হারিয়ে এলোমেলো হয়ে পড়া ফ্রান্স লিড নিয়েও শেষ পর্যন্ত ইতালির কাছে বিশ্বকাপ হারায়।

ফাইনাল ম্যাচে ৭ মিনিটের মাথায় জিদানের গোলে লিড নেয় ফ্রান্স।১৯ মিনিটে হেড থেকে গোল করে ইতালিকে সমতায় ফেরান মার্কো মাতারেজ্জি।এই মাতারেজ্জির সাথেই দফায় দফায় কথা কাটাকাটির পর জিদান ঘটিয়ে বসলেন সে বহুল আলোচিত কান্ড।রেফারির চোখকে ফাঁকি দিতে পারবেন মনে করে সজোরে মাথা দিয়ে আঘাত করে বসলেন মাতারেজ্জির বুকে।ব্যাথায় কুঁকড়াতে কুঁকড়াতে মাটিতে লুটিয়ে পড়া ইতালিয়ান ফুটবলারকে দেখে লাল কার্ড দেখিয়ে জিদানকে মাঠ ছাড়া করলেন রেফারি। ফুটবলে ইতিহাসে যেটি 'জিদান হেড-বাট' নামে বিখ্যাত হয়ে আছে।ইতালি তার বিশ্বকাপ জয়ের পথে সবচেয়ে বড় বাধা জিদানকে পরিকল্পনা করেই উত্তেজিত করেছিল কিনা তা নিয়ে পড়ে বহু আলোচনা হয়েছে।যেভাবেই হোক জিদান কান্ডে ইতালিরই সুবিধা হয়েছিল বেশি।

অ্যানফিল্ডে আজ লিভারপুলের নুনিয়েজ অনেক বছর পর জিদানের সেই 'হেড-বাটের' স্মৃতি ফিরিয়ে আনলেন ফুটবলপ্রেমীদের মাঝে।ম্যাচের তখন ৫৭ মিনিট।ঘরের মাঠে ক্রিস্টাল প্যালেসর কাছে ১-০ গোল পিছিয়ে লিভারপুল। এ গ্রীষ্মে লিভারপুলে যোগ দেওয়া উরুগুয়েন স্ট্রাইকার নুনিয়েজ তখন অ্যানফিল্ডে নিজের সামর্থ্য জানান দিতে জোর প্রচেষ্টায় আছেন।লিভারপুলকে ম্যাচে ফেরানোর জন্য গোলের সন্ধানে থাকা নুনিয়েজ ঠিক তখনই হারালে মেজাজ।

ক্রিস্টাল প্যালেসের জোয়াকেম এন্ডারসনের পেছন থেকে দেওয়া হালকা ধাক্কায় উত্তেজিত হয়ে তার মুখে মাথা দিয়ে সজোরে আঘাত করে বসেন এই স্ট্রাইকার।শাস্তি হিসেবে তৎক্ষণাৎ দেখেছেন লাল কার্ড।তবে তাকে হারিয়ে দশ জনের দলে পরিণত হওয়া লিভারপুলকে আরো বড় ধাক্কা থেকে বাঁচান লুইস ডিয়াজ।৬১ মিনিটে তার করা গোলেই ম্যাচে ফেরে ক্লপের শিষ্যরা।ম্যাচের বাকি সময়ে লিভারপুলের একের পর এক আক্রমণ নিশানা ভেদে ব্যর্থ হলে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুই দল।

ঘরের মাঠে লিভারপুল এই দিন ম্যাচের শুরু থেকেই ক্রিস্টাল প্যালেসের উপর প্রভাব বিস্তার করে খেলতে থাকে। তবে স্কোরলাইনে সবসময় যে মাঠের খেলার সঠিক প্রতিফলন হয় না সেটা গতকাল আরেকবার দেখা গেল প্রথমার্ধ শেষে। লিভারপুলের আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত ক্রিস্টাল প্যালেসই ম্যাচের ৩২ মিনিটে ফরোওয়ার্ড উইলফ্রেড জাহার নিখুঁত ফিনিশে এগিয়ে যায়। তবে গোলের আগে পরে পুরোটা সময় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ লিভারপুলের কাছেই।৬১ মিনিটের সমতায় ফেরার আগে লিভারপুল খেলোয়াড়রা ২১ টি শর্ট নেয় ক্রিস্টাল প্যালেসর গোল পোস্ট লক্ষ্য করে! যার একটিও নিশানা ভেদ করতে পারেনি। পুরো ম্যাচে স্বাগতিকদের ২৪ টি শর্টের বিপরীতে প্যালেস শর্ট নিয়েছে মাত্র তিনটি।এর মধ্যে দুইটি উইলফ্রেড জাহার নেওয়া।যার একটিতে গোল আসে।আরেকটি ফেরত আসে গোলবারে লেগে।

ম্যাচের মাত্র ২৩ শতাংশ সময়ে বল নিজেদের দখলে রাখতে পারা ক্রিস্টাল প্যালেসের খেলোয়াড়রা ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারাতে নিশ্চয়ই খুশিই হয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফুটবল

২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ