পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সংকোচন, সুশীল সমাজসহ মানবাধিকারের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেছেন। গতকাল রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তার সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ সময় তাকে জানানো হয় বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা আগে হলেও এখন নেই। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, বিচারবহির্ভূত হত্যার বিষয়ে কোনো তথ্য পেলে সরকার তা তদন্ত করবে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটকে ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে গত ১০ বছরে ৭৬ জনকে গুম করার অভিযোগ আছে। তাদের মধ্যে ১০ জনের সন্ধান পাওয়া গেছে। তাদের পরিবার ভয়ে তথ্য দেয় না। আমরা তাদের সম্পর্কে জানতে চাই।
বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা (জাতিসংঘ) মনে করেন বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই এবং সরকার সেন্সরশিপ আরোপ করে। এ ব্যাপারে সরকারের অবস্থান সম্পর্কে আমরা বলেছি, আমি এমন কিছু দেখছি না, বাংলাদেশের গণমাধ্যম খুবই শক্তিশালী। মিশেল ব্যাচেলেট মনে করে, সরকার বাংলাদেশের গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে নিয়ন্ত্রিত হয়। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সাল থেকে এ রকম হত্যাকাণ্ডের কোনো খবর নেই। ২০০৩, ২০০৪ ও ২০০৫ সালে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটত। তবে এ ধরনের ঘটনা থাকলে সরকার তদন্ত করবে।
বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে ড. মোমেন জানান, কিছু কিছু লোক নাকি বলেছে যে, ৭৬ জন লোক গত ১০ বছরে নিখোঁজ হয়ে গেছে। সরকার নাকি তাদের নিখোঁজ করেছে। ৭৬ জনের মধ্যে আবার ১০ জনকে দেখা যায় পাওয়া গেছে। বাকিগুলো আমরা ঠিক জানি না। পরিবার কোনো তথ্য দেয় না। পরিবারকে বলা হয়, তারা ভয়ে আর কোনো তথ্য দেয় না। আমরা জানি না তারা কোথায় গেছেন। মূলত বিচারবহির্ভূত হত্যার বিষয়ে তারা (জাতিসংঘ) কিছু বলেনি। আমরা নিজে থেকে বলেছি। এ রকম বলা হয়েছে যে, কিছু লোককে কিলিং করা হয়েছে। আমাদের এখানে আগে হতো ২০০০, ২০০৩ ওই সময়ে। বিচারবহির্ভূত হত্যার বিষয়ে আমরা কোনো তথ্য পেলে তদন্ত করা হবে। যারা মানবাধিকারের দীক্ষা আমাদের দেয়; তাদের দেশে বঙ্গবন্ধুর খুনিরা ঘুরে বেড়ায়।
মিডিয়ার স্বাধীনতার প্রসঙ্গে বলেছি, আমরা এ সম্পর্কে জানি না। কিন্তু কেউ কেউ মনে হয় মনে করে। তারা মনে মনে চিন্তা করে। তাদেরকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে অনেকগুলো মিডিয়া রেজিস্টার্ড হয়েছে। বাংলাদেশে সরকারের মিডিয়া ছাড়া কোনো মিডিয়া নেই। আমি বললাম, সারাদেশে নাকি ২ হাজার ৮০০ পত্রিকা বের হয়। সরকার এগুলোর সেন্সর করে বলে আমার জানা নেই। সরকারের এত ক্ষমতাও নেই।
দেশে সিভিল সোসাইটির প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, দেশে সিভিল সোসাইটি নাকি নেই। এটা আমরা জানি না। সিভিল সোসাইটি তো সব জায়গায় থাকে। এনজিও আমাদের দেশে শতশত, কয়েক হাজার। এখানে প্রাইভেট ভলানটিয়ার অরগানাইজেশন খুব বেশি নেই।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে জাতিসংঘ খুব উদ্বিগ্ন। আমরা তাদের কাছে রোহিঙ্গ সমস্যা সমাধানে সহায়তা চেয়েছি। এ সমস্যা সমাধানে তারা আমাদের সহযোগিতা করবে বলেও জানিয়েছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, মানবাধিকার ও আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রশিক্ষণের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট চার দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।