মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার পর এবার নেপাল? আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করে হিমালয়ের কোলের দেশটির সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করছে বেইজিং। সেখানে বিশাল অঙ্কের চীনা বিনিয়োগের খবর সামনে আসতেই শুরু হয়েছে জল্পনা। এ ঘটনায় কঠিন চাপে পড়ে গিয়েছে নয়াদিল্লি।
পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সাথে সহযোগিতার সম্পর্ক তৈরি করেছে চীন। ফলে দেশগুলো ভারতকে এখন আর পাত্তা দিতে চাইছে না। এর ধারাবাহিকতায় ভারতের আরেক প্রতিবেশী দেশ নেপালে রাস্তা, সেতু-সহ অন্যান্য পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য বড়সড় আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেয় বেইজিং। সূত্রের খবর, ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ প্রকল্পের অংশ হিসেবে নেপাল (Nepal) ও চীনের মধ্যে রেল ও সড়ক যোগাযোগ চালুর কারিগরি দিকগুলি খতিয়ে দেখতে একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠাবে বেইজিং। চলতি বছরেই সেই দল আসবে কাঠমান্ডুতে।
কয়েকদিন আগেই বেইজিং সফরে যান নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নারায়ণ খড়কা। সেখানে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। ওই বৈঠকে ‘এক চীন’ নীতি মেনে নেয়ার বিষয়ে আশ্বাস দেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খড়কা। পাশাপাশি প্রতিশ্রুতি দেন আমেরিকার সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক না রাখার বিষয়ে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই কারণেই নেপালে বিনিয়োগের জন্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন।
২০১৯ থেকে নেপালকে ‘কৌশলগত সহযোগী’-র মর্যাদা দিয়ে আসছে চীন। তবে এই প্রথম হিমালয়ের কোলের দেশটিতে বিরাট অঙ্কের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিল বেইজিং। তাই এই খবর সামনে আসতেই নড়ে চড়ে বসেছে নয়াদিল্লি। “ভারত ও নেপালের মধ্যে সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। শুধু রাজনৈতিক বা কূটনৈতিক সম্পর্ক নয়, দুই দেশের জনগণের মধ্যেই নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। সেখানে চীনের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।” মন্তব্য ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচির। তার কথায়, “পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। দেশের নিরাপত্তার উপর কোনও আঘাত আসুক, তা বরদাস্ত করবে না সরকার।”
সীমান্ত-সমস্যা না মিটলে স্বাভাবিক সম্পর্ক সম্ভব নয়। সীমান্তে শান্তিভঙ্গের চেষ্টা হলে ভবিষ্যতে দুই দেশের উপরেই তার প্রভাব পড়বে। চীন প্রসঙ্গে শুক্রবার এমনই মন্তব্য করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’প্রকল্প নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। বেঙ্গালুরুর অনুষ্ঠানে নাম না করে চীন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর বা সিপিইসি প্রকল্পের সমালোচনা করেন জয়শঙ্কর। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।