Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

থামছে না নারায়ণগঞ্জ আ’লীগের গৃহদাহ

| প্রকাশের সময় : ১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

তারেক সালমান ও মো: হাফিজুর রহমান মিন্টু : আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের আন্তরিকতা ও একান্ত চাওয়াতেও থামছে না নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের গৃহদাহ। দীর্ঘদিন ধরেই নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব তথা দু’টি পরিবারের পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলে আসছে। তাদের ওই দ্বন্দ্বের কারণে মূলত নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগও দীর্ঘদিন ধরে দু’টি শিবিরে বিভক্ত। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে (এনসিসি) ঘিরে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ মহল যখন দলের বিভেদকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছেন, তখন এনসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর বক্তব্যে নতুন করে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের গৃহদাহ আরো চাঙ্গা হয়ে উঠছে। আর দলের অনৈক্যের ছাইচাপা আগুন শেষ পর্যন্ত ক্ষোভের দাবানলে পরিণত হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এ কে এম সামসুজ্জোহার বিরুদ্ধে নৌকার প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর আপত্তিকর মন্তব্যে নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী রাজনীতিতে দুু’ভাগে বিভক্ত শিবিরে নতুন করে ঝড় উঠেছে। আইভীর এ আপত্তিকর মন্তব্যের পর স্থানীয় নেতাদের দল থেকে পদত্যাগ করার হুমকি নিয়ে নগরজুড়ে চলছে আলোচনার ঝড়। স্থানীয় নেতাদের আশঙ্কা, এই ক্ষোভ যে কোনো মুহূর্তে টর্নেডোর আকার ধারণ করতে পারে। আর সেই টর্নেডোর আঘাতে নৌকা প্রতীকের ভরাডুবির ঘটনাও ঘটতে পারে।
প্রসঙ্গত, ২৭ নভেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে এনসিসি নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কৌশল নির্ধারণী এক বৈঠকে সেলিনা হায়াৎ আইভীর কিছু বক্তব্য নিয়ে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগে নতুন করে আলোচনা-সমালোচনা ও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সূত্র মতে, ওই বৈঠকে নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করা নিয়ে দলীয় প্রার্থী আইভী তার প্রতিপক্ষ সংসদ সদস্য শামীম ওসমান সম্পর্কে বলেন, শামীম ওসমান নির্বাচনে সঙ্গে থাকলে ভালো, না থাকলে আরো ভালো। এ সময় তিনি শামীম ওসমানের বাবা প্রয়াত এ কে এম সামসুজ্জোহাকে উদ্দেশ করে বলেন, তার (শামীম ওসমান) বাবার অবদানের চেয়ে আমার বাবার অবদান কম কী ছিল? তার বাবা দল করে টাকা কামাই করেছেন। আর আমার বাবা দল করে অর্থ-সম্পদ খুইয়েছেন।
প্রয়াত ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এ কে এম সামসুজ্জোহা নারায়ণগঞ্জে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম এ কে এম নাসিম ওসমান ও বর্তমান জাতীয় পার্টির নারায়ণগঞ্জ-বন্দর ৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমানের পিতা। দীর্ঘকাল ধরেই নারায়ণগঞ্জে জোহা ও চুনকা পরিবারের পারিবারিক বিরোধ আবার নতুন করে সামনে এসেছে। সামসুজ্জোহা সম্পর্কে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরূপ মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে নেতাকর্মীরা শেষ পর্যন্ত ‘গণপদত্যাগ’-এর সিদ্ধান্তে যেতে পারেন বলেও শোনা যাচ্ছে। এতে বিরোধ নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সাম্প্রতিক ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরেছে। এমনকি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের রাজনীতি ছেড়ে দেয়ার ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশ মর্মাহত হয়েছেন। ফলে বিএনপি এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে নগরের পুরো নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে নিতে পারে বলে মনে করছেন দলের তণমূল নেতাকর্মীরা। অনেকে মনে করছেন, এর সন্তোষজনক সমাধান না হলে এনসিসি নির্বাচনে  নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।  
এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, সহ-সভাপতি চন্দন শীল, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফ উল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াসিনসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতারা। তারা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত সামসুজ্জোহা ওসমানকে নিয়ে আইভীর বিরূপ মন্তব্য চরম দুঃসাহস। এর আগে নেত্রী ও দলের বিরুদ্ধেও আইভী কথা বলেছেন। মনে হয়, তিনি নৌকা মার্কাকে মেনে নিতে পারছেন না। তারা বলেন, সঠিক বিচার না পেলে আমরা গণপদত্যাগ করব। নেত্রী বিদেশ থেকে ফিরে এলেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
আইভীর বিরূপ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে শামীম ওসমান এর প্রতিবাদে দল থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি তার এ সিদ্ধান্তের কথা এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে অবহিত করেছেন। তবে ওবায়দুল কাদের আপাতত ক্ষুব্ধ শামীম ওসমানকে শান্ত করেছেন বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে তাকে এ বিষয়ে অবহিত করা হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শামীম ওসমান গণমাধ্যমের কাছে কিছুই বলতে চাননি। তবে আওয়ামী লীগ নেতাদের কয়েকজন জানিয়েছেন, শামীম ওসমান তার বাবা সাবেক এমপি মরহুম এ  কে এম শামসুজ্জোহাকে নিয়ে সেলিনা হায়াৎ আইভীর অশোভন বক্তব্যের বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বৈঠকে বলেছেন, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত এ কে এম শামসুজ্জোহা একজন সৎ মানুষ ছিলেন। আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহচর এ নেতার রাজনৈতিক দক্ষতা ও যোগ্যতা ছিল প্রশ্নাতীত। নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে তার কোনো ধরনের দুর্নাম ছিল না। অথচ তাকে জড়িয়ে মিথ্যাচার করেছেন আইভী। তার অসত্য বক্তব্যের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জের  নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ। তিনি পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন। নেতাকর্মীদের শান্ত করেছেন।
সূত্র বলছে, শুধু সিটি কর্পোরেশন এলাকাধীন ২৭টি ওয়ার্ড নয়, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ, বন্দর, সোনারগাঁসহ অন্যান্য সাংগঠনিক থানা এবং জেলা আওয়ামী লীগের নেতারাও বিষয়টি নিয়ে চরমভাবে ক্ষুব্ধ। তারা জানিয়েছেন, দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশনায় বিভেদ ভুলে সবাই যখন নৌকার জন্য মাঠে নামতে শুরু করেছেন ঠিক তখন বিভেদের আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছেন আইভী নিজেই।
প্রয়াত সামসুজ্জোহাকে নিয়ে সেলিনা হায়াৎ আইভীর এমন বক্তব্য শুনে হতবাক হয়ে যান নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের প্রবীণ ও ত্যাগী নেতারা। এ নিয়ে দলের তৃণমূল পর্যায় থেকে শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে চরম ক্ষোভ জন্ম নিয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ও আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত (মরণোত্তর) ভাষাসৈনিককে নিয়ে কটাক্ষ করায় সাধারণ মানুষের মাঝেও ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, শুধু দলীয়ভাবেই নয়, ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন সংগঠককে নিয়ে আইভীর এমন বক্তব্য মেনে নিতে পারছেন না দলমত নির্বিশেষে নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ।
নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের অনেকে বলেন, সেলিনা হায়াৎ আইভীর এমন মন্তব্যের কারণে মেয়র নির্বাচনে নৌকাডুবি হলে তার দায়ভার আইভীকেই বহন করতে হবে। তারা আইভীর আচরণকে ‘হীন মনসিকতা’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘নৌকা’ প্রতীক পেয়ে আইভীর দাম্ভিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ছেলের ওপর রাগের কারণে তিনি সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের মরহুম বাবাকে চরমভাবে অসম্মান করেছেন। এজন্য আইভীর প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রয়াত সামসুজ্জোহার রাজনৈতিক শিষ্য আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন, আমি অসুস্থ। তাই পত্রিকা বা টিভি কোনো কিছুই দেখতে পারিনি। তবে বিষয়টি আমি শুনেছি। আনোয়ার হোসেন বলেন, জোহা ভাই ছিলেন আমার রাজনৈতিক গুরু। তার হাত ধরে আমি রাজনীতিতে এসেছি। যদি আইভী এমন বক্তব্য দিয়ে থাকে তবে সেটা খুবই নিন্দনীয় এবং এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। কারণ, সামসুজ্জোহা একজন কর্মীবান্ধব ও প্রকৃত বঙ্গবন্ধুর সৈনিক ছিলেন। যিনি কোরবানির জন্য কেনা গরু বিক্রি করে দিয়ে কর্মীদের ঈদ করতে টাকা দিয়েছিলেন। আর আজ তার বিরুদ্ধে এহেন মন্তব্য শুনে আমি নিজেই লজ্জিত।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সামিউল্লাহ মিলন জানান, মুক্তিযুদ্ধে জোহা ভাইয়ের অবদান অনস্বীকার্য। ভারতের ত্রাণ শিবিরে তিনি ‘ত্রাণবন্ধু’ নামে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। তিনি বলেন, এর আগেও আইভী আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের শহীদ মিনার থেকে বের করে দিয়েছিলেন। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা সেদিন কেঁদেছিলাম। আজও আমাদের বুকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। কারণ জোহা ভাই আমাদের গুরুই ছিলেন না, ছিলেন পথপ্রদর্শক। তাই আইভীর এই ঔদ্ধত্যের বিচার বঙ্গবন্ধুকন্যার কাছেই দিলাম।
বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রশীদ বলেন, সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে শামীম ওসমানের ব্যক্তিগত কোনো বিরোধ নেই, তাদের মধ্যে বিরোধটা নীতিগত। কারণ শামীম ওসমান দল ও নেত্রীর প্রশ্নে আপোষ করে না। এছাড়া আইভীর বাবা প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আলী আহাম্মদ চুনকাকে নিয়ে শামীম ওসমান কখনোই বিরূপ মন্তব্য করেননি। সেখানে জোহা ভাইয়ের মতো একজন কর্মীবান্ধব নির্লোভ মানুষকে নিয়ে এমন বক্তব্য দিয়ে আইভী প্রমাণ করেছেন তিনি কখনোই ঐক্যের পথে ছিলেন না। ঐক্য তিনি চানও না। একই কথা বলেছেন সোনারগাঁ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিক অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া। তিনি জানান, প্রয়াত এ কে এম সামসুজ্জোহা একজন নির্লোভ নেতা ছিলেন। তার পরিবার বাংলাদেশের কয়েকটি ধনী পরিবারের একটি। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দল ও কর্মীদের জন্য এতটাই করেছিলেন যে, নিজের বাড়িটি পর্যন্ত নিলামে উঠেছিল। তিনি বলেন, বিষয়টি আর এখন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ইস্যুর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকল না। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয়ভাবে কঠোর সিদ্ধান্ত না হলে আমরা গণপদত্যাগ করব। কারণ অনেক হয়েছে, আর না, পানি মাথার ওপরে উঠে গেছে।
মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম বলেন, তার (আইভী) দলের প্রতি ভালোবাসা নেই। আওয়ামী লীগের ক্ষমতাকে ব্যবহার করার জন্যই দলকে ব্যবহার করছেন। যারা অন্য দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গ দিতে চায় আর মনে করে নিজ দলের মানুষ সঙ্গে থাকলে ক্ষতি হতে পারে, তারাই এমন মন্তব্য করতে পারেন। এতে করে দলের প্রতি তাদের দরদ কতটুকু থাকতে পারে সেটাই প্রশ্ন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আওয়ামী লীগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ