মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সংক্ষিপ্ত এবং বিতর্কিত তাইওয়ান সফর নিয়ে চীন এবং তাইওয়ানের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। তাইওয়ানকে ঘিরে চীন ছয়টি স্থানে সামরিক মহড়া শুরু করেছে। এই মহড়ার সময় চীন অন্তত দুইটি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুঁড়েছে।
চীন এখন যে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে, ঠিক একই ধরনের প্রতিক্রিয়া তারা দেখিয়েছিল ১৯৯৬ সালে। তখন তাইওয়ান আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চেয়েছিল। এটা পরিষ্কার যে চীনের সামরিক মহড়া তাইওয়ানকে ভয় দেখানোর জন্য।
রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের মধ্যে নতুন করে চীন-তাইওয়ান উত্তেজনায় উদ্বেগজনক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন সচেতন নাগরিক সমাজ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশিরভাগ মানুষ আসন্ন সংঘাত এড়িয়ে শান্তি বজায় রাখার আশা প্রকাশ করেন।
ফেসবুকে তারিক সানি লিখেছেন, ‘‘রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব। এই যুদ্ধে পশ্চিমাদের অর্থনীতি তলানিতে পৌঁছেছে। কিন্তু এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে ছিল চীন তাদের স্থিতিশীলতা বজায় রেখে তার অর্থনীতিকে আরো গতিশীল করেছে। এই অর্থনৈতিক গতিশীলতাই আমেরিকার জন্য সবচেয়ে ভয়ের কারণ। এখন আমেরিকার চাচ্ছে কোনভাবে চীনকে যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলা বা অস্থিতিশীল করে তোলা। যার ফলে আমরা দেখতে পাচ্ছি উস্কানিমূলক বক্তব্য এবং কর্মকাণ্ড এবং পশ্চিমা মিডিয়াদের চীন বিরোধী কন্টেন প্রচার করা।’’
সাইফুর কাইছার লিখেছেন, ‘‘অনেকটা নিশ্চিত যে চীন তার নিজ অখণ্ড রক্ষায় অভিযান চালাবে। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার যে ইউক্রেনের এ অবস্থা থেকেও তাইওয়ান কিছুই শিক্ষা নেয়নি।মানে মাইর খেতে খেতে লুটিয়ে পড়ছে তারপরও বলছে আমার কিছুই হবেনা।’’
ড. নাজিম লিখেছেন, ‘‘ইউক্রেনের মতো তাইওয়ানকেও যুদ্ধে নামাচ্ছে আমেরিকা, অস্ত্রের ব্যাবসা চাঙ্গা করার জন্য। তাইওয়ানেরও ধ্বংস অনিবার্য। আমেরিকা যার বন্ধু, তার শত্রুর প্রয়োজন নেই।
ইউক্রেনের পর তাইওয়ানকেও খাওয়ার চিন্তা আমেরিকার। যুদ্ধ নয়, শান্তিই কাম্য।’’
জসিম চৌধুরীর মন্তব্য, ‘‘সবকিছুর নাটেরগুরু হলো আমেরিকা। ন্যান্সি পেলোসির কি দরকার ছিল চীনের প্রতিবাদ উপেক্ষা করে তাইওয়ান সফর করার। তারা আবার এক চীনের নীতিও বিশ্বাস করে। আমেরিকা চায় তাইওয়ান আরেকটি ইউক্রেন হোক!’’
খন্দকার শাহআলম মনে করেন, ‘‘তাইওয়ানে আক্রমণ করলে চীন বড় ভুল করবে কারণ তাইওয়ান আগেরচেয়ে এখন অনেক শক্তিশালী পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের জোড়ালো ভূমিকা রাখবে।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।