পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২০২৩ সালের মাধ্যমিকের পাঠ্যবইয়ে প্রচুর ভুল ও অসঙ্গতি রয়েছে। আর এসব নিয়ে সারা দেশে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এই বিতর্ক অবসানের লক্ষে সরকারের উচিত বিতর্কিত ও ‘ভুলে ভরা’ পাঠ্যবই বাজেয়াপ্ত করা বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন। তারা বলেন, পাঠ্যবইয়ে ডারউইনের বিতর্কিত মতবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এই মতবাদ ধর্মবিরোধী। কোন ধর্মই এই মতবাদকে স্বীকার করে না। বানর থেকে মানুষ হয় এটা ধর্মবিরোধী প্রচারনা। মানুষ ও মুসলমান হিসেবে আমরা আদমের সন্তান। এখানে বানর থেকে মানুষ হওয়ার সুযোগ নেই। এটা ইসলামের প্রতি আঘাত।
নেতৃদ্বয় বলেন, স্বাধীন–সার্বভৌম দেশে বিতর্কিত পাঠ্যবই দিয়ে পাঠদান কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এ পরিস্থিতিতে বিতর্ক তৈরি করা পাঠ্যবই বাজেয়াপ্ত করা সময়ের দাবি। এর বিরুদ্ধে শিক্ষামন্ত্রীর অপাধিদের পক্ষে সাফাই গাইবার কোন সুযোগ নাই। বরং পাঠ্যপুস্তকে কারা এসব বিতর্কিত বিষয় কারা অর্ন্তভূক্ত করেছে তাদের খুজে বের করতে একটি কমিশন গঠন করা প্রয়োজন। দেশের মানুষ আশা করে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন।’
তারা বলেন, অনেক কষ্টে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ, লক্ষ লক্ষ শহীদের তাজা প্রাণের বিনিময়ে তারা আমাদের দিয়ে গেছেন প্রিয় দেশমাতৃকা বাংলাদেশ। আমাদের পাঠ্যপুস্তকে তাই আমাদের দেশপ্রেম, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও জাতীয় চেতনা প্রতিফলিত হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্তক বোর্ড নতুন পাঠ্যক্রমের বিভিন্ন শ্রেণিতে এমন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করেছে, যা কোনভাবেই আমাদের সন্তানদের উপযোগী নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।