পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে বাংলা ভাষায় লিখিত রিসার্চ পেপার, অ্যাসাইনমেন্ট, টার্ম পেপার, থিসিস পেপারসহ বিভিন্ন আর্টিক্যালে সিমিলারিটি চেকিং (প্লেগারিজম বা চৌর্যবৃত্তি) ধরার জন্য ডিইউবিডি২১ নামে একটি সফটওয়্যার চালু করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)।
গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান এই সফটওয়্যারটি উদ্বোধন করেন।
সফটওয়্যারটি তৈরি করেছেন ঢাবির তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের অ্যাসিসট্যান্ট প্রফেসর আব্দুস সাত্তারের নেতৃত্বে একদল গবেষক। দীর্ঘ আট মাসের পরিশ্রমে এই সফটওয়্যারটি চালু করা হয়। এই সফটওয়্যারটি বাংলা ভাষায় লিখিত আর্টিক্যাল, কন্টেন্ট, অ্যাসাইনমেন্ট, রিসার্চ পেপারে কতটুকু মৌলিকত্ব সেটা যাচাই করতে সক্ষম হবে। এছাড়াও কোন কোন উৎস থেকে তথ্য নেওয়া বা (কপি করা) হয়েছে, কত শতাংশ কপি করা হয়েছে সেটা দেখাবে। পাশাপাশি কোথা থেকে তথ্য নেওয়া হযেছে সেটার লিংকও দিয়ে দেবে এই সফটওয়্যারটি।
ডিইউবিডি২১ সফটওয়্যারটি প্রথমে বাংলা ভাষায় লিখিত বিভিন্ন রিসার্চ আর্টিকেল, অ্যাসাইনমেন্ট প্রাইমারী সোর্স হিসেবে ইনক্লুড করবে। সেক্ষেত্রে উইকিপিডিয়াসহ বিভিন্ন গবেষণা জার্নালকে ব্যবহার করা হবে। তারপর নতুন কোনো গবেষণার সিমিলারিটি ইনডেক্স নির্ণয়ের জন্য সফটওয়্যারে ইনপুট করা হলে সফটওয়্যার সেটি নির্ণয় করবে।
এ বিষয়ে প্রফেসর আবদুস সাত্তার বলেন, এই সফটওয়ারের আরো ডেভেলপমেন্ট হবে। প্রাইমারী সোর্স ইনক্লুড করাসহ এতে বিভিন্ন বিষয় সংযোজন করা হবে। তারপর নীতিমালার আলোকে আমরা এটিকে কমার্শিয়ালি লঞ্চ করব।
সফটওয়ারটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক গবেষণার ক্ষেত্রে একটি অসাধারণ অর্জন। এই সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলায় রচিত এমফিল ও পিএইচডি থিসিস, জার্নাল, প্রবন্ধ, নিবন্ধ, শিক্ষার্থীদের থিসিস, অ্যাসাইনমেন্টসহ সংশ্লিষ্ট গবেষণা পত্রের তথ্যসূত্র যাচাই এবং বাংলা টেক্সট সিমিলারিটি নির্ণয় করা যাবে। শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন এবং মৌলিক ও প্রায়োগিক গবেষণার ক্ষেত্রে এই সফটওয়্যার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ ধরণের মৌলিক উদ্ভাবন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিংয়ের উন্নয়নে অবদান রাখবে এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নেও এর প্রভাব পড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এই সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে গবেষকরা পূর্বে প্রকাশিত সমধর্মী কাজ সম্পর্কে জানতে পারবেন। একইসঙ্গে শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা মৌলিক গবেষণা পরিচালনার ক্ষেত্রে আরও সচেতন হবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকারের সঞ্চালনায় সফটওয়্যারটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষকবৃন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।