Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

যুক্তরাষ্ট্রের উস্কানিতে ইউক্রেন সঙ্কট আরও তীব্র হচ্ছে

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০২২, ১২:০৪ পিএম

ইউক্রেনকে দেয়া পশ্চিমা বিশ্বের অস্ত্রগুলো যুদ্ধে কিছুটা পার্থক্য তৈরি করতে পারলেও রাশিয়ার সামরিক কর্মকাণ্ডের ব্যাপকতার তুলনায় তা অনেকই কম। ফলে যুদ্ধ আরও ছড়িয়ে পড়ছে এবং সঙ্কট ঘনীভূত হচ্ছে।

ইউক্রেনীয় বাহিনী আমেরিকার সরবরাহ করা দূরপাল্লার হাইমার্স রকেট ছোঁড়ার পর খেরসন শহরে ঢোকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ আন্তনভস্কি নামের একটি সেতু ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে, এবং এর ফলে শহরটি অন্যান্য রুশ অধিকৃত এলাকা থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সেতুটি বন্ধ হয়ে গেলে খেরসন দখল করে থাকা রুশ সৈন্যরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে, এবং রাশিয়ার জন্য এটি হবে এক বিপর্যয়।

ইউক্রেনের রকেট হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত আন্তনভস্কি সেতুটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে বলে রুশ নিয়ন্ত্রিত এলাকার স্থানীয় কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরো বলছে যে, ইউক্রেনীয় বাহিনী সম্ভবত ইনহুলেটস নদীর দক্ষিণ দিকে একটি শক্ত অবস্থান কায়েম করেছে এবং দনিপ্রো নদীর ওপরকার কমপক্ষে তিনটি সেতুর ক্ষতিসাধনের জন্য নতুন দূরপাল্লার কামান ব্যবহার করছে।

মস্কো-সমর্থক কর্মকর্তারা অবশ্য ইউক্রেনীয় বাহিনী ইনহুলেটস অতিক্রম করেছে এমন খবর অস্বীকার করেছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের একজন উপদেষ্টা বলেছেন, খেরসন শহরটিতে তাদের দখল টিকিয়ে রাখতে তড়িঘড়ি করে পূর্ব দিক থেকে রুশ সৈন্যদের নিয়ে আসা হচ্ছে।

দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন শহরের জনসংখ্যা ছিল যু্দ্ধের আগে দুই লাখ ৯০ হাজার। যুদ্ধের প্রথম দিকে রাশিয়া শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেবার পর থেকে স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্ব আছেন রুশ সমর্থিত কর্মকর্তারা। যুদ্ধের গোড়ার দিকে, প্রায় কোনরকম প্রতিরোধ ছাড়াই রাশিয়ান সৈন্যরা খেরসনের দখল নিতে সক্ষমত হয়।

গত সপ্তাহে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর মূল লক্ষ্য এখন শুধু ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলই নয়, বরং তারা এখন দক্ষিণে খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়ার দখলের দিকেও তাদের অভিযান কেন্দ্রীভূত করছে।

রাশিয়ার তাস সংবাদ সংস্থার এক খবরে বলা হয়েছে, খেরসন শহরকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার সাথে যুক্ত করার জন্য শহরের কর্মকর্তারা সাম্প্রতিক কয়েক দিনে একটি গণভোট অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়েছেন। এর জন্য কর্তৃপক্ষ একটি নির্বাচন কমিটি গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানানো হয়েছে।

রুশ বাহিনী বলছে, পূর্ব ডোনেৎস্কের সভিৎলোডারস্ক শহরে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যুত কেন্দ্রটি তারা দখল করে নিয়েছে। বলা হচ্ছে, গত তিন সপ্তাহের মধ্যে এটিই রাশিয়ার প্রথম কোন কৌশলগত বিজয়। সাবেক ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা স্যার রিচার্ড ব্যারনস বলছেন, ইউক্রেনকে দেয়া পশ্চিমা বিশ্বের অস্ত্রগুলো যুদ্ধে কিছুটা পার্থক্য তৈরি করতে পেরেছে, কিন্তু এর পরিমাণ - রাশিয়ার সামরিক কর্মকাণ্ডের ব্যাপকতার তুলনায় অনেক কম। সূত্র: বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইউক্রেন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ