গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ব্যক্তি শ্রেণির আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা দেয়ার সময় আছে আর মাত্র দুই দিন। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব করদাতাকে রিটার্ন জমা দিতে হবে। যদি কেউ এই সময়ের মধ্যে জমা না দেয়, তাহলে নির্ধারিত করের ওপর মাসিক ২ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে চলতি অর্থবছরের বিদ্যমান আয়কর অধ্যাদেশে ৭৩ নামে নতুন একটি ধারার নিয়ম অনুযায়ী ।
গতকাল অর্থমন্ত্রী বলেছেন, বুধবার শেষ হচ্ছে ব্যক্তি শ্রেণির আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা দেয়ার সময়। কোনো কারণে যারা এই দিন রাত ৮টার মধ্যে রিটার্ন জমা দিতে ব্যর্থ হবেন, তাদের নির্ধারিত করের ওপর মাসিক ২ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। তবে বিশেষ কারণ দেখিয়ে সময় বাড়ানোর সুযোগ থাকবে। সময় বাড়বে না এ ঘোষণা বাজেটের সময়ই দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
আয়কর অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ে কোনো করদাতা বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দিতে ব্যর্থ হলে ওই ব্যক্তির করের ওপর মাসিক ২ শতাংশ হারে বিলম্ব সুদ দিতে হবে। তবে সুদ নির্ধারণ হবে সারা বছরে ওই করদাতা যে উৎসে কর ও অগ্রিম কর দিয়েছেন, তা বাদ দিয়ে আয়করের ওপর।
এদিকে ২০১৬ সালের অর্থ আইনে ৩০ নভেম্বরকে আয়কর দিবস ঘোষণার মধ্য দিয়ে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। সব করদাতার রিটার্ন দাখিল নিশ্চিত করতে আয়কর সপ্তাহ পালন করছে এনবিআর। প্রতিবার ব্যবসায়ীদের দাবিতে সময় একাধিক দফা বৃদ্ধি করা হতো। কিন্তু চলতি অর্থবছরে ৩০ নভেম্বর সময় বেঁধে দিয়ে অর্থবিল পাস করা হয়েছে। মানে, সময়সীমা এখন আইনি কাঠামোর মধ্যে চলে এসেছে। এবার ২৪ থেকে ৩০ নভেম্বর আয়কর সপ্তাহ পালন করছে এনবিআর। এ সময়ে আয়কর মেলায় যেসব সুবিধা পান করদাতারা, তারা মাঠপর্যায়ে কর কার্যালয়ে একই সুবিধা পাবেন। প্রতিটি কার্যালয়ে সহায়তা কেন্দ্রে তৈরি করা হয়েছে। আর করদাতাদের সুবিধার্থে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত রিটার্ন জমা নেয়া হচ্ছে।
এনবিআর সূত্র জানিয়েছে, ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের ১৮ লাখ কর শনাক্তকারী নম্বর (টিআইএন) থাকলেও গত বছর নির্ধারিত সময়ে ১১ লাখ ৮০ হাজার করদাতা আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছেন। নতুন করে প্রায় তিন লাখ করদাতা যোগ হওয়ায় এবার রিটার্ন দাখিল ১৫ লাখ অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।
গতবারের মতো এ বছরও আড়াই লাখ টাকার বেশি আয় হলে বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা দিতে হবে। তবে আড়াই লাখ টাকার কম আয় হলেও কয়েক শ্রেণির করদাতাদের অবশ্যই রিটার্ন জমা দিতে হবে। গাড়ির মালিক ও অভিজাত ক্লাবের সদস্য হলেও বাধ্যতামূলক রিটার্ন দিতেই হবে। এ ছাড়া চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, হিসাববিদদের মতো পেশাজীবীদের করযোগ্য আয় না থাকলেও এনবিআরকে আয়-ব্যয় বিবরণী জানাতে হবে। সব মিলিয়ে পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, ঠিকাদার, জনপ্রতিনিধি, সরকারি চাকরিজীবীসহ ২০ ধরনের করদাতার রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক।
শুধু আয়কর ও সম্পদ বিবরণীর ফরম পূরণ করে দিলেই হবে না, প্রয়োজন অনুযায়ী বেশ কিছু কাগজপত্র আয়কর বিবরণীর দলিলের সাথে জমা দিতে হবে। সেগুলোর অন্যতম হলোÑ বেতন খাতের আয়ের দলিল, সিকিউরিটিজের ওপর সুদ আয়ের সনদ, ভাড়ার চুক্তিপত্র, পৌরকরের রসিদ, বন্ধকি ঋণের সুদের সনদ, মূলধনী সম্পদের বিক্রয় কিংবা ক্রয়মূল্যের চুক্তিপত্র ও রসিদ, মূলধনী ব্যয়ের আনুষঙ্গিক প্রমাণপত্র, শেয়ারের লভ্যাংশ পাওয়ার ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্ট, সুদের ওপর উৎসে কর কাটার সার্টিফিকেট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।