পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) সারাদেশে আয়কর রিটার্ন দাখিল গত অর্থবছরের (২০২১-২২) তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেড়েছে। চলতি অর্থবছরে দেশব্যাপী আয়কর রিটার্ন দাখিলের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় তিন লাখে। ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার (টিআইএন) ধারীদের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় পরিষেবা পেতে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করেছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অন্যদিকে বাজেটেও তাদের জন্য ছিল সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা। এই দুইয়ে মিলেই বেড়েছে রিটার্ন জমার পরিমান।
গত মঙ্গলবার পর্যন্ত দুই লাখ ৯২ হাজার ১৮৬ জন অনলাইন এবং অফলাইন উভয় মাধ্যমেই তাদের আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছেন। যেখানে এর আগের অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে তা ছিল ১ লাখেরও কম। এনবিআরের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ২৫ আগস্ট পরিষেবা শুরু হওয়ার পর একমাসে অনলাইন রিটার্ন জমা দিয়েছেন ১৬ হাজার ১৮৬ জন করদাতা।
চলতি অর্থবছরের এই সময়ের মধ্যে আরও ১৮ হাজার ২৮০ জন অনলাইনে তাদের রিটার্ন প্রস্তুত করেছেন এবং প্রতি মুহুর্তেই রিটার্ন জমা বাড়ছে। এছাড়া ২ লাখ ৭৬ হাজার সরাসরি আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছেন।
চলতি অর্থবছরের জাতীয় বাজেট অনুযায়ী, যাদের টিআইএন আছে এবং কখনও ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করেননি তারা যদি এই অর্থবছরের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করেন তাহলে তাদের আগের বছরের জরিমানা থেকে অব্যাহতি দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। এছাড়া প্রায় ৩৭টি সেবা পেতে জনগণের জন্য ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এনবিআরের কর্মকর্তারা জানান, বাধ্যতামূলক রিটার্ন জমা দেওয়ার ফলে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মাধ্যমে কর জিডিপির অনুপাত বাড়াবে বলেও মত তাদের। উল্লেখ্য, বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বাংলাদেশের কর-জিডিপি অনুপাত সবচেয়ে কম। অনলাইনে রিটার্ন দাখিল একটি সহজ ও সুন্দর সুযোগ তৈরি করেছে এবং এতে করদাতারাও আগ্রহী হচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা করদাতাদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি।
উল্লেখ্য, অনলাইনে রিটার্ন জমার সেবাটি গত বছরের অক্টোবরে শুরু হয়েছিল এবং প্রায় ৭২ হাজার করদাতা অনলাইনে তাদের রিটার্ন জমা দিয়েছেন। কর্মকর্তাররা জানান, সিস্টেমটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় হওয়ায় কর্মকর্তাদের রিটার্ন জমা দেওয়ার বিষয়ে আপডেট করা যেতে পারে এবং ট্যাক্স নেট বাড়ানোর জন্য জোন এবং সার্কেল কর্মকর্তাদের মনিটর করতে পারে।
করদাতারা অনলাইনে তাদের রিটার্ন জমা দিতে এবং প্রস্তুত করতে পারেন এবং তারা কর পরিশোধ করতে এবং অন্যান্য সুবিধা পেতে পারেন। ফেরত আসারাও অনলাইন থেকে রিটার্ন জমা দেওয়ার স্বীকৃতি পাচ্ছেন এবং নিবন্ধন সম্পূর্ণ ঝামেলামুক্ত। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) পরিচালিত সা¤প্রতিক জরিপ অনুসারে, করযোগ্য আয়ের প্রায় ৬৮ শতাংশ মানুষ সরকারকে কর দেননা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।