Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নতুন আয়কর আইন যেন হয়রানিমুক্ত হয়

আলোচনা সভায় বক্তারা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

নতুন আয়কর আইন এমনভাবে করা উচিত, যাতে করদাতা ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মধ্যে চোর-পুলিশ খেলা বন্ধ হয়। বর্তমান আইনে এমন কিছু বিধি রয়েছে, যা করদাতাদের হয়রানির সুযোগ সৃষ্টি করে। আবার কর ফাঁকিরও সুযোগ রয়েছে। ফলে করদাতা ও কর কর্মকর্তা কেউ কাউকে বিশ্বাস করেন না। নতুন আইন এ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। তবে আইনটি চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া না করে আরো সময় নেওয়া উচিত। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত রাখার সুযোগ দেওয়া উচিত।
গত বৃহস্পতিবার আয়কর আইন-২০২২ নিয়ে পল্টনে ইআরএফ কার্যালয়ে আয়োজিত ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্টের (বিল্ড) যৌথসভায় বক্তারা এ নিয়ে আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফের সভাপতি শারমীন রিনভী। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে স্নেহাশীষ বড়ুয়া বলেন, পুঁজিবাজারের বিনিয়োগের মুনাফায় করছাড় তুলে দেওয়া, সরকারি সিকিউরিটি কেনায় সীমা আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের বিনিয়োগের সুযোগ কমে যাবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেন, আইনের ক্ষেত্রে প্রণয়নকারী, প্রয়োগকারী ও মান্যকারীদের মধ্যে সমন্বয় জরুরি। তা না হলে আইন লক্ষ্য অর্জন করে না। আয়কর আইনের মতো আইনে মৌলিকতা আনতে সময় দরকার। যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তার অর্থনীতির দক্ষতা বাড়ছে কি না, সাম্য নিশ্চিত হচ্ছে কি না, তা দেখা দরকার।
বিল্ডের চেয়ারপারসন আবুল কাশেম খান বলেন, কর আইন, আমদানি-রফতানি নীতির মতো উদ্যোগের মাধ্যমে সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এসব নীতিমালায় দেশীয় উদ্যোক্তাদের সুবিধা দিতে হবে। এসব নীতিমালা করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করা খুবই জরুরি। কিন্তু আয়কর আইন চূড়ান্ত হওয়ার পথে। ব্যবসায়ীরা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানেন না। ব্যবসায়ীদের কাছে এনবিআরের পক্ষ থেকে মতামত চাওয়া হলেও সময় দেওয়া হয়েছে খুবই কম। এ জন্য আরো সময় প্রয়োজন।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, কর ছাড় না দিলে পুঁজিবাজার এগোবে না। আবার ভবিষ্যতে উন্নয়ন অর্থায়নের জন্য বন্ড মার্কেট লাগবে। ফলে নতুন আইনে এ বিষয়ে সুযোগ থাকতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে দ্বৈত কর রয়েছে, যা ‘ননসেন্স’। এটা ব্যবসার বাধা। হঠাৎ পরিদর্শন বন্ধ করা, ব্যবসায়ীদের গবেষণা ব্যয়ে কর ছাড়, বীমার প্রিমিয়ামকে ব্যয় হিসেবে গণ্য করার সুপারিশ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নতুন আয়কর আইন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ