মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিয়ের প্রতি ভারতীয়দের ক্রমেই অনীহা বাড়ছে। ভারতীয় যুবসমাজের একটা বড় অংশ অবিবাহিত থাকতে চাইছেন। সরকারি একটি সমীক্ষায় এমন রিপোর্টই উঠে এসেছে।
২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সাল- এই আট বছরে ভারতে যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে অবিবাহিত থাকার মানসিকতা চোখে পড়ার মতো বেড়ে গেছে।
২০১৯ সালের একটা সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা গেছে, ১৫ থেকে ২৯ বছরের তরুণ সমাজের প্রায় ২৩ শতাংশ নাগরিক অবিবাহিত থাকাকেই শ্রেয় মনে করছেন।
কী বলছে সমীক্ষা
১৫ থেকে ২৯ বছরের তরুণ সমাজের প্রায় ১৭.২ শতাংশ নাগরিক অবিবাহিত থাকার পক্ষে সায় দিয়েছিলেন। সেখানে ২০১৯ সালে ২৩ শতাংশ যুবক যুবতী মনে করছেন, তারা অবিবাহিত থাকলে বেশি ভালো থাকবেন।
জাতীয় জনপরিসংখ্যান প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১১ সালে ১৫ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে অবিবাহিত পুরুষের সংখ্যা ছিল ২০.৮ শতাংশ। ২০১৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬.১ শতাংশ। নারীদের ক্ষেত্রেও বিয়ে না করার একটা প্রবণতা দেখতে পাওয়া গেছে। ২০১১ সালের ১৫ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে যেখানে ১৭.৫ শতাংশ তরুণী অবিবাহিত ছিলেন। ২০১৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯.৯ শতাংশে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে দিল্লি, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশের সাথে সাথে জম্মু ও কাশ্মিরে সব থেকে বেশি অবিবাহিত পুরুষ দেখা গেছে। কেরল, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও হিমাচল প্রদেশে অবিবাহিত যুবকের হার অপেক্ষাকৃত কম। যদিও কারণ হিসেবে রিপোর্টে কিছুই জানানো হয়নি।
শিক্ষিত নারীদের বেড়েছে বিয়ের বয়স
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সময়ের সাথে সাথে বাল্য বিবাহের হারও উল্লেখযোগ্য হারে কমছে। পাশাপাশি মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়ছে। ২৫-২৯ বছরের তরুণীদের মধ্যে প্রথম বিয়ের প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ২০ বছরের মধ্যে ৫২.৮ শতাংশ নারী প্রথমবারের জন্য বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। সেখানে ২০০৫-২০০৬ সালে সেই হার ছিল ৭২ শতাংশের ওপর। দেখা গেছে, শিক্ষিত নারীদের ক্ষেত্রে বিয়ের বয়স উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
২০১৯-২১ সালের সমীক্ষায় দেখা গেছে ২৫ থেকে ২৯ বছরের তরুণীদের মধ্যে যারা স্কুলের গণ্ডি পেরিয়েছেন বা তার থেকে বেশি শিক্ষিত, তাদের বিয়ের বয়স ৫.৫ বছর বেড়েছে। অন্যদিকে, যেসব নারী স্কুলে যেতে পারেননি, তাদের বিয়ের গড় বয়স ১.২ বছর বেড়েছে। যারা প্রাথমিক স্কুল পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন, সেসব নারীদের বয়স ১.৫ থেকে ২ বছর বেড়েছে।
হ্রাস পেয়েছে কিশোরী মাতৃ্ত্বের হার
ভারতে ১৮ বছরের নিচে মেয়েদের বিয়ে গত ১৫ বছরে অর্ধেক হয়ে গেছে। ২০-২৪ বছরের মেয়েদের বিয়ের হার ২০০৫-০৬ সালে ৪৭ শতাংশ ছিল। ২০১৯-২১ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৩ শতাংশ। পাশাপাশি ২০০৫-০৬ সালে কিশোরী মাতৃত্বের হার ছিল ১৬ শতাংশ। ২০১৯-২১ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭ শতাংশ। বর্তমান প্রজন্মের তরুণীদের মধ্যে স্বাবলম্বী হওয়ার দিকে ঝোঁক বেড়েছে।
সূত্র : ওয়ান ইন্ডিয়া
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।