মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
২০১৭ সাল নাগাদ ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্তবর্তী গ্রামাঞ্চল ডোকলাম নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে একপ্রস্থ উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আর এবার স্যাটেলাইট সূত্রে পাওয়া সাম্প্রতিক ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে, ডোকলামের ৯ কিলোমিটার পূর্বে একটি আস্ত গ্রাম তৈরি করেছে চীন। সীমান্তে শান্তি ফেরাতে দফায়-দফায় দু’দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। এর মাঝেই এই উপগ্রহ চিত্র সামনে আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
উপগ্রহচিত্রে দেখা গিয়েছে, এই নবনির্মিত এলাকায় প্রচুর ছোট ছোট বাড়ি বানানো হয়েছে। আর প্রতিটি বাড়ির সামনেই পার্ক করা রয়েছে একটি করে গাড়ি। এই নতুন নগরকে বেইজিং ডাকছে ‘প্যাংডা’ নামে। অঞ্চলটি ভূটানের অভ্যন্তরে বলেই মনে করা হচ্ছে। ভূটানের জমি দখল করেই তিল তিল করে এই অঞ্চল গড়ে তোলা হয়েছে বলে দাবি। ভারতের উদ্বেগের কারণ হল, ওই গ্রামের পাশ দিয়ে একটি বাইপাস রাস্তাও তৈরি করছে তারা। ওই রাস্তা দিয়ে আমো চু নদীর ধার দিয়ে চীন একটি পাহাড়চূড়া পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে। যেখান থেকে ভারতের শিলিগুড়ি করিডরের উপর নজর রাখতে পারবে চীন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আমো-ছু নদীর অববাহিকার বিস্তৃত অঞ্চল এবং ভূটানের ১০ কিলোমিটার অঞ্চল দখল করেই এই নতুন গ্রামটি তৈরি করা হয়েছে। আমো-ছু নদী অববাহিকা অঞ্চলটি সামরিক কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর গায়েই রয়েছে সংবেদনশীল শিলিগুড়ি করিডর। এই চিকেন-নেক করিডরই বাকি দেশের সঙ্গে যুক্ত করেছে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিকে। তাই ওই রাজ্যগুলিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে করিডর দখলে রাখতেই হবে।
২০১৭ সালে ডোকলামে চীন এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর দীর্ঘ স্ট্যান্ডঅফ হয়েছিল। দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও হয়েছিল। দুই দেশের দীর্ঘ আলোচনার পর সেই সমস্যার সমাধান হয়েছিল। শিলিগুড়ি করিডোর ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক এলাকা। ২২ কিলোমিটারের ওই করিডোর গোটা উত্তর পূর্ব ভারতের সঙ্গে মূল ভারতীয় ভূখণ্ডের একমাত্র সংযোগরক্ষাকারী রাস্তা। ফলে চীন ওই রাস্তার উপর নজরদারি চালালে ভারতের সামরিক কৌশলে সমস্যা হতে পারে।
ভারতের অবসরপ্রাপ্ত লেফটন্যান্ট জেনারেল প্রবীণ বক্সি একসময় পূর্ব সীমান্তের কম্যান্ডার ছিলেন। ডোকলাম সংকটের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তার। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ''চীনের পাংদা গ্রাম নির্মাণ এবং তার উত্তর এবং দক্ষিণে কাঠামো নির্মাণ স্পষ্ট করে দেয়, কীভাবে তারা ঝাম্পেরি রিজ এবং ডোকলামে নিজেদের আধিপত্য তৈরি করতে চাইছে।'' ভারতীয় সেনার এক সূত্র এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, ''চীনের সমস্ত কার্যকলাপের দিকে ভারত নজর রেখেছে। ভারতীয় সার্বভৌমত্ব বজায় রাখার জন্য ভারতীয় সেনাও যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে।'' তবে ভারত ওই অঞ্চলে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। সূত্র: এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।