মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের ইরান সফরকে দু’দেশের সম্পর্কের টার্নিং পয়েন্ট বলে উল্লেখ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এ সফরে গ্যাস সরবরাহ চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয় এবং দু’দেশের মধ্যে উচ্চাকাঙ্ক্ষী বাণিজ্যিক সম্পর্কের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া মঙ্গলবার এ সফরের সময় দু’দেশের মধ্যে আটটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
ইরান ও তুরস্ক আরও ২৫ বছরের জন্য তাদের গ্যাস সরবরাহ চুক্তি বাড়াতে সম্মত হয়েছে। মঙ্গলবার দু’পক্ষ এ চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। এছাড়া তারা ৩০ বিলিয়ন ডলারের উচ্চাকাঙ্ক্ষী বাণিজ্যিক লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
তেহরানে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের মধ্যে বৈঠকের সময় এ চুক্তিগুলো সম্পন্ন হয়।
প্রতিনিধি পর্যায়ের আলোচনার পর এরদোয়ানের সঙ্গে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে রাইসি বলেন, তুর্কি প্রেসিডেন্টের তেহরান সফর দু’প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সহযোগিতা স্তরের উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ টার্নিং পয়েন্ট।
রাইসি জোর দিয়ে বলেন যে তেহরান ও আঙ্কারার মধ্যে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক যথেষ্ট নয়। এটা উচ্চতর স্তরে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, ৩০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যক লক্ষ্য অর্জনযোগ্য।
ইরান ও তুরস্ক তাদের দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর, দু’প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে রাজনীতি, অর্থনীতি, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে আটটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছে।
তুর্কি প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দু’পক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি বিস্তৃত পরিকল্পনা, ক্ষুদ্র অর্থনৈতিক উদ্যোগের জন্য সমর্থন, রেডিও ও টেলিভিশনের মধ্যে সহযোগিতা এবং দু’দেশের সরকারি দফতরের মধ্যে সহযোগিতা।
গত বছর ইরানে নতুন সরকার গঠনের পর তেহরানে তুর্কি প্রেসিডেন্টের এটাই প্রথম সফর।
দু’নেতা গত নভেম্বরে তুর্কমেনিস্তানে ইসিও সম্মেলনের ফাঁকে দেখা করেছিলেন। সেখানে তারা দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ব্যাপক উন্নতির বিষয়ে একমত হয়েছিলেন।
সোমবার গভীর রাতে ইরানের রাজধানীতে পৌঁছান এরদোয়ান। দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পাশাপাশি তিনি ‘আস্তানা’ আলোচনা বৈঠকের মতো করে রাইসি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় আলোচনায় অংশ নেবেন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে দু’দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করার পরই বাণিজ্যক সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়ে ওই চুক্তিটি হয়েছে।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।