বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনা মহানগরীর ৪ নং মাছ ঘাট এলাকায় সাথী বেগম (২২) নামে এক গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ রোবাবার সকালে খুলনা মেডিকলে কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এলাকাবাসির অভিযোগ, নিহতের সৎ মা, খালা ও নানীর মারপিটে সাথী বেগমের মৃত্যু হয়েছে। নিহত নারী ওই এলাকার জামাল শেখের বড় মেয়ে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে তাবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না এটা হত্যা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, জামাল শেখ দু’কন্যা নিয়ে ৪ নং মাছ ঘাট এলাকায় বসবাস করেন। ১১ বছর আগে তার স্ত্রী অন্যত্র বিয়ে করে। সন্তানদের দেখভাল করার জন্য জামাল একই এলাকার রাহেলা বেগমকে বিয়ে করেন। এরপর থেকে দুই কন্যার ওপর ওপর নেমে আসে সৎ মায়ের অত্যাচার। ৮ বছর আগে ৪ নং মাছ ঘাট এলাকার সবুজ শেখ নামে এক যুবকের সাথে সাথী বেগমের বিয়ে হয়। কিছুদিন সংসার করার পর সবুজ অন্যত্র একটি বিয়ে করে। সাথী বাবার বাড়িতে চলে আসে। সৎ মা এটি কোনভাবে মেনে নিতে পারেনি। প্রায়ই কারণে অকারণে তাকে মারপিট করত সৎ মা। এলাকাবাসী আরও জানান, গত ৫ জুলাই দুপুরে জামাল শেখের সাথে স্ত্রী রাহেলা বেগমের কথা কাটাকাটি হয়। জামাল শেখ বাড়ির বাইরে গেলে সাথীর ওপর চলে অত্যাচার। এ সময় রাহেলা বেগমের মা ও বোন তিন জন মিলে সাথী বেগমের শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করতে থাকে। পরে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে সাথীকে ফেলে পালিয়ে যায় তারা। ওইদিন থেকে সাথী শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত পড়তে থাকে। পাশ্ববর্তী ফার্মেসী থেকে ঔষধ এনে তাকে খাওয়ানো হয়। কিন্তু কিছুতে তার রক্ত পড়া বন্ধ হয়নি। আজ রোববার সকালে হঠাৎ নিস্তেজ হয়ে পড়ে সাথী। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সাথী বেগমের ৬ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
নিহত সাথীর ছোট বোন সুমাইয়া বলেন, তার বড় বোন বোন স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর থেকে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিল। এটা তার সৎ মা কোনভাবে মেনে নিতে পারেনি। কোন কিছু হলেই সৎ মা তার ওপর অত্যাচার করত। সেদিনও (৫ জুলাই) তাকে বেদম প্রহার করেছে তিন জন মিলে। তাকে কোন চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়নি বা কোন চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। বিনা চিকিৎসায় আমার বোনটি মারা গেল। এখন এ ছোট বাচ্চার কি হবে এটা নিয়ে বেশ চিন্তিত। তিনি বোনের মৃত্যুর জন্য সৎ মাকে দায়ি করেছেন।
খুলনা সদর থানার সেকেন্ড অফিসার মোহাম্মদ টিপু সুলতান বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাথী বেগম মারা গেছেন। হত্যা করা হয়েছে কি না তা ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে জানা যাবে। লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। খুলনা থানার এস আই লতিফা রহমান পপি বলেন, মৃত্যুর খবর জানতে পেরে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে এসে তার লাশের সুরতহাল রির্পোট তৈরি করেন। মরদেহের বুকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রির্পোট হাতে এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।