মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ একটি আইনী সংশোধনী পাস করেছে যা রাশিয়ার কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র কেনার জন্য শাস্তিমূলক নিষেধাজ্ঞা থেকে ভারতকে রক্ষা করবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে পাস হওয়া ভারত-নির্দিষ্ট সংশোধনীটিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাক্ষর করার আগে এখনও সিনেটের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
ভারতীয়-আমেরিকান কংগ্রেসম্যান রো খান্না কর্তৃক রচিত এবং প্রবর্তিত, এটি বাইডেন প্রশাসনকে ভারতকে কাউন্টারিং আমেরিকাস অ্যাডভারসারিজ থ্রু সাংশনস অ্যাক্ট (ক্যাটসা) থেকে একটি ছাড় দেয়ার আহ্বান জানায়, যা মস্কো থেকে অস্ত্র কেনার জন্য নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে অবিলম্বে নিষেধাজ্ঞা আনতে পারে। সংশোধনীটি যুক্তি দেয় যে এই অঞ্চলে চীনের প্রভাব রোধ করার জন্য এই ধরনের ছাড় দেয়া প্রয়োজন। এটি ২০২৩ সালের জন্য মার্কিন প্রতিরক্ষা বিলের ফ্লোর বিবেচনার সময় একটি এনব্লক সংশোধনীর অংশ হিসাবে ভয়েস ভোটে পাস হয়েছিল।
ভারতীয় বংশোদ্ভুত কংগ্রেসম্যান রো খান্নার ন্যাশনাল ডিফেন্স অথোরাইজেশন অ্যাক্টের সংশোধনী প্রস্তাব পাস করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে চলার পথ প্রশস্ত করেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝখানে রাশিয়া থেকে এস ৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সুরক্ষিত করার জন্য নয়াদিল্লি একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত করে। তা ভারত-মার্কিন সম্পর্কে প্রভূত প্রভাব ফেলে। ভারতের এই পদক্ষেপকে সমর্থন করতে পারেনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ভারতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার হুঙ্কার দেয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন এ ব্যাপারে ভাবিত, তখনই প্রতিনিধি পরিষদে বিষয়টি উত্থাপন করেন রো খান্না। তার প্রস্তাবে বরফ গলে। মার্কিন কংগ্রেসে সংশোধনী পাস হয়ে যায়। ২০১৭ সালে মার্কিন কংগ্রেস দ্বারা রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দার সঙ্গে সংযোগ রাখা যে কোনও দেশের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে একটি আইন পাস করে। সেই আইনেরই সংশোধনী আনতে প্রস্তাব করেন করেন রো খান্না। যাতে ভারতের জন্য আইনে ছাড় দেওয়া হয়, সেটাই ছিল মার্কিন কংগ্রেসম্যানের প্রস্তাব।
এরপর রো খান্না বলেন, এই সংশোধনী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করবে। আমেরিকা-ভারত অংশীদারিত্বের থেকে আমেরিকা বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থের কোনও সম্পর্ক নেই। এই সংশোধনীটি মার্কিন-ভারত পারমানবিক চুক্তির পর দু-দেশের সম্পর্ককে উন্নীত করার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। খান্না বলেন, ভারতের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অংশীদারিত্বকে নিশ্চিত করবে এই সংশোধনীটি। চীনের মতো আগ্রাসীদের ঠেকাতে সাহায্য করবে। তিনি মনে করেন, চীনের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসনের মুখে ভারতের পাশে দাঁড়ানো উচিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। সূত্র: ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।