Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অবশেষে সেই সউদী যুবরাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বাইডেন

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ জুলাই, ২০২২, ১০:০৬ এএম

সউদী বংশোদ্ভূত সাংবাদিক জামাল খাসোগী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে এমন মন্তব্য করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এক সময় সউদী আরবকে ‘একঘরে’ করারও ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত সেই সউদী আরবেরই দ্বারস্থ হতে হলো তাঁর। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার সউদী যুবরাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

তবে এই সাক্ষাতে মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করা থেকে বিরত ছিলেন বাইডেন। হোয়াইট হাউস থেকে এই বিষয়ে জানানো হয়েছিল যে, নিজেকে কোভিড থেকে সুরক্ষিত রাখতেই সালমানের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করবেন না বাইডেন।

বাইডেন সউদী সফর নিয়ে রয়টার্সের প্রকাশিত এক ছবি থেকে দেখা যায় বাইডেন বা মোহাম্মদ বিন সালমান কেউই হ্যান্ডশেক করেননি। তার পরিবর্তে তাঁরা তাদের মুষ্টিবদ্ধ করে পরস্পরের সঙ্গে মৃদু মোলাকাত করেছেন মাত্র।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সউদী আরবের স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার সউদী আরব পৌঁছান জো বাইডেন। এবারের সফরে তিনি সউদী পক্ষের সঙ্গে মানবাধিকার, জ্বালানি সরবরাহ, নিরাপত্তা সহযোগিতা ইত্যাদি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করবেন। বাইডেনের এই সফরকে বিশ্লেষকেরা দেখছেন দীর্ঘদিনের মিত্র দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের নবায়ন হিসেবে।

জো বাইডেন সউদী আরবকে একসময় একঘরে করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সে পথে তিনি শেষ পর্যন্ত হাঁটতে পারলেন না। যদিও সউদী আরবের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের এখনো যথেষ্ট আপত্তি রয়েছে। কিন্তু জ্বালানি ও নিরাপত্তা ইস্যু এই তিক্ত স্মৃতি ভুলে আবার মৈত্রীর পথে হাঁটতে উৎসাহ জুগিয়েছে বাইডেন প্রশাসনকে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টারা তাঁকে নমনীয় হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তিশালী দেশ ও শীর্ষ জ্বালানি রপ্তানিকারক দেশ সউদী আরবের সঙ্গে চীন ও রাশিয়ার ঘনিষ্ঠতা ক্রমেই বাড়ছে। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এই সম্পর্ক আরও গাঢ় হওয়ার আগেই পুরোনো মৈত্রীর প্রসঙ্গ টেবিলে রেখে বাইডেন প্রশাসন রিয়াদকে আবার নিজের দিকে টানতে চায়।

তবে খুব দ্রুতই সউদী আরব জ্বালানি তেল সরবরাহ বাড়াতে সম্মত হবে না বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাকব সুলিভান। তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতির হার চার দশকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় জ্বালানি তেলের সরবরাহ বাড়ানো জরুরি। কিন্তু খুব দ্রুতই এর সমাধান হবে না বলে মনে হচ্ছে। সূত্র : রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ