শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
অনির্বাণ মন্ডল
ইদিকটায় যে নদীটা দেখতিসো
ওখানটায় ছিল আমাগো ঘর
আমাগো জমি আমাগো উঠুন
আর বাপ ঠাকুরদার পায়ের ছাপ।
ভিটেমাটি যবে থেকে নদীর পেটে
তবে থেকে আমরাও পেটের টানে
এদিক ওদিক ঘুরতিসি। আমরা চোর নই বাটপার নই ; তবে আমাদেরও খিদে পায়। মাঝেমাঝে খিদের জ্বালায় পেট যখন টনটন করে তখন আবসা আবসা মনে আসে তারা যাদের দেওয়া কোনওকিসুই বাঁচাতে পারলুমনি।
কোন শুভ ক্ষণে
খোদেজা মাহবুব আরা
হঠাৎ কিছু আনন্দ, চাঁদোয়া রাত আর বাসন্তী স্নিগ্ধ বাতাস অনবদ্য, স্বপ্নালু বিভোর থাকি অনেকটা প্রহর, অমৃত অনুভবে হৃদয় জুড়ে উচ্ছ্বাসের মায়াময় উৎসব। প্রচন্ড দুঃখের শেষ অমন আনন্দ, জীবন অরন্যে পুষ্প বাগান বিলাস,সুবাস আর পেলব স্পর্শে তরঙায়িত ছোট হৃদয় ছুঁয়ে যায় আনমনা স্বপ্নের দিন।
এভাবে জীবনের বিমূর্ত স্রোতে কিছু সুখ আলোয় উৎভাসিত করে অভিলাষ, বাঁচার প্রবল ইচ্ছে কুঁড়ি ফুটতে থাকে চারপাশ মোহিত করে, আর আমি প্রাপ্তি ভারে নত বেশে থাকি আলোড়িত, উৎযাপনের মোহনায় যেন স্থির থেকে যাই আজীবন, স্বপ্ন আর আনন্দ বাড়িয়ে রাখুক হাত, আর আমি মৃত্যুকে যেন উচ্ছ্বসিত আনন্দে নির্বিকার চিত্তে করি গ্রহণ
কোন শুভ ক্ষণে, মুগ্ধ স্বপ্নালুতায়
মৃত্যু
হাসান নাজমুল
মৃত্যু যেন এক ক্ষুধার্ত মানুষ;
সহসাই খেয়ে ফেলে গভীর গুরুত্ব,
মৃত্যু যখনই আসে,
তখনই গোছানো অর্জন
মাথা ঠুকে কাঁদে ভবিষ্যতের বিশাল ব্রিজ
নিজ পায়ে পারে না দাঁড়াতে আর
স্বপ্ন চির অন্ধকারে ডুবে যায়,
মৃত্যু এলে চিন্তার নকশা
ডুবে যায় বিমূর্ত কথায়
স্বজনের হাতে গোপনে ধরিয়ে দেয় বিস্মৃতির বই
জীবনের মতো মৃত্যুও চলিষ্ণু
অন্তর মন্থর কোরে রাখে না কখনো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।