মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সম্প্রতি চার বছরের পুরনো টুইটের কারণে আটক করা হয়েছে মুসলিম সাংবাদিক মুহাম্মদ যুবায়েরকে। এই ঘটনার কারণে বিজেপি সরকারকে দায়ী করছে দেশটির সুশিল সমাজ। তাকে গ্রেফতারের পেছনে বড় হাত রয়েছে বলে মানছেন তারা। এবার আদালত রায় ঘোষণার আগেই দিল্লি পুলিশ রায় জানিয়ে দিয়েছে। এমন ঘটনায় বিস্মিত সাধারণ মানুষও।
মুহাম্মদ জুবায়েরকে আটকের পর আদালতে তোলা হয়। এরই মধ্যে শুনানি শেষ হয়েছে কিন্তু বিচারক সিদ্ধান্ত জানাননি। তার আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অধীনস্থ দিল্লি পুলিশ সাংবাদিকদের জানিয়ে দেয়, জুবায়েরকে জামিনের আবেদন খারিজ করেছেন বিচারক। তার ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজত হয়েছে। পুলিশকর্তার রায় সংক্রান্ত মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের কিছুক্ষণের মধ্যেই আদালত একই রায় দেয়। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের
এরপরই পুলিশের মন্তব্য ও আদালতের রায়ের যোগসূত্র টেনে অনেকেই অভিযোগ করছেন, জুবায়ের মামলায় ‘প্রভাবশালী’ যোগ রয়েছে। এই মামলায় দিল্লি পুলিশের অতিরিক্ত তৎপরতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অনেকের অভিযোগ, নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে অভিযোগে সক্রিয়তা দেখা যায়নি। তার জেরে দিল্লি পুলিশকে কটাক্ষও করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই পুলিশই জুবায়ের মামলায় আদালতের থেকেও অধিক ‘তৎপর’।
জুবায়েরের আইনজীবী সৌতিক বন্দ্যোপাধ্যায় একে কলঙ্কজনক আখ্যা দিয়েছেন। তার বক্তব্য, বিচারকের রায়ের অপেক্ষা না করেই পুলিশ সংবাদমাধ্যমে রায় ঘোষণা করে দিয়েছে।
চার বছর পুরনো একটি টুইটে আপত্তিকর বিষয়বস্তু রয়েছে, এই অভিযোগ তুলে গত ২৭ জুন অল্ট নিউজের প্রতিষ্ঠাতা জুবায়েরকে গ্রেফতার করা হয়। গত পাঁচ দিন ধরেই পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে তাকে। দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন জুবায়ের। আদালতে পেশ করা হলে উভয়পক্ষই নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরে আদালতে। শুনানি শেষ হলেও তখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি বিচারক।
তার আগেই পুলিশের ডেপুটি কমিশনার সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন, জুবায়েরের জামিন খারিজ করেছে আদালত। তাকে ১৪ দিনের জন্য বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। বিতর্ক তুঙ্গে উঠতেই ডিসিপি কেপিএস মলহোত্রার সাফাই, এক সহকর্মীর থেকে ভুল তথ্য শুনেছিলেন। পরে অবশ্য আদালতের রায় ঘোষণার সময়ে দেখা যায়, ভুল নয়, মালহোত্রা যা জানিয়েছিলেন, বিচারকের রায় তার সঙ্গে হুবহু মিলে গিয়েছে।
রায় ঘোষণার আগে বিচারকের সিদ্ধান্ত কীভাবে জানলেন ডিসিপি- তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে সরব হয়েছে অনেক রাজনৈতিক দলও। জুবায়েরকে আটকের ঘটনা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোও গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।