মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রিলায়েন্স জিওর চেয়ারম্যান পদ ছাড়লেন ভারতের শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানি। ওই পদে ছেলে আকাশ আম্বানিকে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি। জিও-র বোর্ড মিডিংয়ের পরেই এই রদবদল হল সংস্থায়। বছর তিরিশের মুকেশ পুত্র আকাশ আম্বানি এতদিন ছিলেন রিলায়েন্স জিও-এর নন-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর। মঙ্গলবার সংস্থার তরফে জানানো হল, তিনিই এখন থেকে কোম্পানির চেয়ারম্যান। ইতিমধ্যে পদত্যাগ করেছেন মুকেশ।
জিও-র বোর্ড মিটিংয়ের পর কেবল চেয়ারম্যান পরিবর্তনই হয়নি। এছাড়াও সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদ বসানো হয়েছে পঙ্কজ মোহন পাওয়ারকে। সোমবার ২৭ জুন থেকেই ওই পদে কাজ শুরু করেছেন তিনি। এছাড়া রিলায়ান্স জিও-র অতিরিক্ত ডিরেক্টর পদে বসেছেন রামীন্দর সিং গুজরাল ও কে ভি চৌধুরী। মঙ্গলবার থেকেই তারা নিজেদের কাজ বুঝে নিয়েছেন। উল্লেখ্য, রিলায়েন্স জিও-র চেয়ারম্যান পদ ছাড়লেও জিও প্লাটফর্ম লিমিটেডের চেয়ারম্যান থাকছেন মুকেশ আম্বানিই।
গত বছরই মুকেশ আম্বানি বলেছিলেন, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির নেতৃত্বের পরিবর্তন আসছে ধীরে ধীরে। পরের প্রজন্ম আরও দায়িত্ব নিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘সন্তানদের মধ্যে আমি সেই প্রতিভা ও সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি, যা রিলায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা আমার বাবা ধীরুভাই আম্বানির মধ্যে ছিল।’ তিনি আশা করেন, ধীরুভাইয়ের মতোই ভারতের আর্থিক বিকাশে অবদান রাখবে আম্বানি পরিবারের আগামি প্রজন্ম।
এছাড়াও বাবা ধীরুভাই আম্বানির জন্মদিনে রিলায়েন্সের উপরমহলে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মুকেশ। বলেন, ‘বড় স্বপ্ন হোক কিংবা অসম্ভব লক্ষ্যপূরণ, এর জন্য প্রয়োজন সঠিক ব্যক্তি ও সুযোগ্য নেতৃত্ব। রিলায়েন্স এই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বের পরিবর্তনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। আমার প্রজন্মের সিনিয়রদের থেকে তরুণ নেতাদের পরবর্তী প্রজন্মের দিকে।’ কার্যতই সেই ঘটনাই ঘটল রিলায়েন্স পরিবারে। এবার থেকে রিলায়েন্স জিও-র নেতৃত্ব দেবেন আকাশ আম্বানি।
উল্লেখ্য, আকাশ আম্বানি ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। ছোটবেলার প্রেমিকা শ্লোকা মেহতাকে বিয়ে করেন। শ্লোকার পরিবার হীরা ব্যবসায়ী। ২০২০ সালে আকাশ ও শ্লোকার পুত্রসন্তান পৃথ্বীর জন্ম হয়। আকাশের যমজ বোন ইশা এবং ছোট ভাই অনন্ত আম্বানি। সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।