পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যার্তদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে ওয়ারফেইজ, আর্ক, অ্যাশেজসহ দেশের ২১ টি ব্যান্ড দলের অংশগ্রহণে আজ ও আগামীকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে আয়োজন করা হচ্ছে ‘বন্যার্তদের জন্য কনসার্ট’। দুই দিনব্যাপী এই কনসার্ট দুপুর ২ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত চলবে। টিকিট ফি তিনশত টাকা, যা সম্পূর্ণভাবে বন্যার্তদের জন্য ব্যয় করা হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তরা।
শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ভিত্তিক বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো সমন্বিতভাবে একটি অহ্বায়ক কমিটি গঠন করে বন্যার্তদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে। এরই অংশ হিসেবে এই কনসার্টের আয়োজন করা হচ্ছে।
গতকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে আহ্বায়ক কমিটি। গত ২১ জুন গঠিত এই কমিটিতে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছকে আহ্বায়ক, ঢাবি’র গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রফেসর রোবায়েত ফেরদৌসকে সদস্যসচিব এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর মো. নিজামুল হক ভূঁইয়াকে উপদেষ্টা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে গোলাম কুদ্দুছ বলেন, আন্দোলন-সংগ্রামসহ দেশের যেকোনো দুর্যোগ ও মানবিক বিপর্যয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার সব সময় পাশে ছিল। ১৯৮৮ ও ৯৮ সালে দেশে যে সবচেয়ে বড় প্লাবন হয়েছিল, সেই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি ছিল সরকারের পরে বৃহত্তম ত্রাণ তৎপরতা কেন্দ্র। এখানে শত শত ছাত্র-ছাত্রী ও সংস্কৃতি কর্মীরা কাজ করেছে।
গোলাম কুদ্দুছ বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের নিজেদের মতো করে মাঠ পর্যায়ে কালেকশন করছে, আমরাও বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করছি, ইতোমধ্যে দশ লাখ টাকার মতো কমিটমেন্ট আমরা পেয়ে গেছি। এর মধ্যে চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল পাঁচ লাখ, তার স্ত্রী বর্ষা এক লাখ টাকা দেওয়ার কমিটমেন্ট দিয়েছেন। আরও কয়েকজন একলাখ টাকা করে দেওয়ার কথা বলেছেন। আমরা এরকম আরও ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। আজকের মধ্যেই আমরা ব্যাংক একাউন্ট করে ফেলব।
সংবাদ সম্মেলনে আগামী ৩০ জুনের পর থেকে সুনামগঞ্জে বন্যার্তদের মাঝে খাদ্য, ঔষধসহ প্রয়োজনীয় ‘উপহার’ সামগ্রী বিতরণ করা হবে বলে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কনসার্ট থেকে প্রাপ্ত সকল অর্থ ব্যয় করা হবে বন্যার্ত মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। কনসার্টে যেসব ব্যান্ড দল অংশ নিবেন, তাদের কেউ পারিশ্রমিক নিবেন না। পুরো অর্থ বন্যার্তদের জন্য ব্যয় করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো কথা বলেন সদস্য সচিব প্রফেসর রোবায়েত ফেরদৌস, টিএসসির পরিচালক সৈয়দ আলী আকবর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ ও কমিটির সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাট্য সংসদের সভাপতি দিগার মোহাম্মদ কৌশিক প্রমুখ। ###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।