মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সরকারবিরোধী বিক্ষোভে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৩ বছর বয়সে আটক হওয়া এক বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে সউদী আরব। মানবাধিকার কর্মীরা জানিয়েছেন, মুক্তি পাওয়া মুর্তজা কুরাইসিস এক সময়ে মৃত্যুদণ্ড পেয়েছিলেন তবে পরে তাকে নির্দিষ্ট মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০১১ সালে আরব বসন্তের সময় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশগ্রহণের অভিযোগে ২০১৪ সালে গ্রেফতার করা হয় মুর্তজা কুরাইসিসকে। রাজনৈতিক কারণে সউদী আরবে বন্দি হওয়া সবচেয়ে কম বয়সি ব্যক্তি মনে করা হতো তাকে।
এক ভিডিওতে সউদী আরবের সবচেয়ে পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে অন্য শিশুদের নিয়ে বাইসাইকেলে চড়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় মুর্তজা কুরাইসিসকে। প্রদেশটিতে সংখ্যালঘু শিয়া মতাবলম্বীদের বসবাস আর মুর্তজা কুরাইসিস নিজেও এই মতাদর্শের অনুসারী। সউদী আরবের শিয়া মতাবলম্বীরা দীর্ঘদিন ধরে সুন্নি মতাদর্শী অধ্যুষিত দেশে বৈষম্যের শিকার এবং দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হওয়ার অভিযোগ করে আসছেন। আরব বসন্তে বিক্ষোভ শুরু হলে সউদী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশে রাস্তায় নামে তারা। নিরাপত্তা বাহিনী ঐ বিক্ষোভ দমন করে। এছাড়া বিক্ষোভে জড়িত থাকায় ঐ সময় এবং আরো পরে বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়। এই বিক্ষোভের ঘটনায় কয়েক জনকে মৃত্যুদণ্ডও দেওয়া হয়।
মানবাধিকার গ্রুপগুলো বলছে, মুর্তজা কুরাইসিসকে কয়েক বছর কোনো অভিযোগ ছাড়াই আটক রাখা হয়। শেষ পর্যন্ত তাকে যখন বিচারের জন্য তোলা হয়, তখন তার বিরুদ্ধে উগ্রবাদী সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্য হওয়ার অভিযোগ আনা হয়। তার বিরুদ্ধে তার বড় ভাইকে সঙ্গ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে পুলিশ স্টেশনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের অভিযোগ আনা হয়। প্রসিকিউটরা তার মৃত্যুদণ্ডের দাবি করেন।
বিচারে প্রমাণ হিসেবে মুর্তজা কুরাইসিসের স্বীকারোক্তি আদালতে দাখিল করা হয়। তবে তিনি বরাবর বলে আসছেন এই স্বীকারোক্তি নির্যাতনের মাধ্যমে আদায় করা হয়েছে। এইরকম একজন অল্প বয়সি আসামি জড়িত থাকায় মামলাটি আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করে। ধারণা করা হচ্ছে, সম্ভবত এই কারণে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে তাকে কারাদণ্ডের শাস্তি দেওয়া হয়।
প্রথমে তাকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে তা কমিয়ে আট বছর করা হয়। এই সময় শেষ হওয়ায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।