বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
১০ ঘণ্টা সাইকেল চালিয়ে পদ্মা সেতুতে আসেন ময়মনসিংহের সোহেল। সব বাধা পেরিয়ে আসতে সেতুতে পারায় খুশি তিনি। শনিবার (২৫ জুন) স্বপ্নের সেতু উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহর সেতু পার হয়ে গেলেই পদ্মা সেতুতে মাওয়া প্রান্তে ঢল নামে হাজারো মানুষের। অনেকেই হেঁটেই পদ্মা সেতুতে উঠে পড়েন। পদ্মা সেতুতে উঠে সবাই নিজেকে মুঠোফোনে ক্যামেরাবন্দি করতে দেখা যায়। যদিও আজই উন্মুক্ত হওয়ার কথা নয় তবুও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মানুষের আগ্রহের কারণে ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে দেখা যায়।
আগত দর্শনার্থীরা জানান, কেউ কিশোরগঞ্জ, কেউ নীলফামারী বা জয়পুরহাট থেকেও এসেছেন। তারা এসেছেন মূলত এই সুন্দর দিনটির সাক্ষী হতে।
রংপুর থেকে আসা তালেব বলেন, আমার কাছে এটি মুক্তিযুদ্ধের চেয়ে কম কিছু নয়। আমরা যুদ্ধ দেখিনি তবে এই সেতু নির্মাণ অনেক কাঠখড় পোহাতে হয়েছে। সুন্দর এই দিনের ইতিহাসের সাক্ষী হতে এসেছি, সেলফি তুলেছি।
কিশেরগঞ্জ থেকে আসা আমজাদ বলেন, এটি সারা বাংলার মানুষের অহংকারে সেতু। আজ বাস্তব, প্রথম দিনই দেখতে এবং সেতুতে উঠতে এসেছি। কষ্ট হয়েছে অনেক রাস্তা ঘুরে এসেছি।
কুমিল্লা থেকে আসা মাসুম মিয়া বলেন, মোটরবাইকে এসেছি। প্রধানমন্ত্রী চলে যাওয়ার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কিছু শিথিল করলে আমরা হেঁটে এসেছি, মোটরবাইকসহ উঠতে পারলে আরেকটু ভালো লাগতো।
দলীয় নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষ সবাই আছেন সেখানে। যেখানে নাম ফলক উন্মোচন করা হয়েছে সেখানে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করে সেলফি তুলছেন। যদিও এরমধ্যে কয়েক পশলা বৃষ্টি হয় তাতে ভিজে ভিজেও সাধারণ মানুষদের ঘোরাঘুরি দেখা যায়।
এর আগে শনিবার (২৫ জুন) বেলা ১২টায় মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে সেতু দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর জাজিরার অভিমুখে রওনা হয়।
বেলা ১১টা ৪৮ মিনিটে নিজ হাতে নির্ধারিত টোল দেন প্রধানমন্ত্রী। আগামীকাল রোববার (২৬ জুন) ভোর ৬টা থেকে যানচলাচল শুরু হবে।
২০০১ সালের ৪ জুলাই স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালের নভেম্বরে নির্মাণকাজ শুরু হয়। দুই স্তরবিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাসের এ সেতুর ওপরের স্তরে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরে একটি একক রেলপথ রয়েছে।
পদ্মা সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। এসব খরচের মধ্যে রয়েছে সেতুর অবকাঠামো তৈরি, নদী শাসন, সংযোগ সড়ক, ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ, বেতন-ভাতা ইত্যাদি। বাংলাদেশের অর্থ বিভাগের সঙ্গে সেতু বিভাগের চুক্তি অনুযায়ী, সেতু নির্মাণে ২৯ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা ঋণ দেয় সরকার। ১ শতাংশ সুদ হারে ৩৫ বছরের মধ্যে সেটি পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।