প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
কয়েকদিন আগে সংসার ভাঙার আতঙ্ক ছিল ঢালিউডের অন্যতম তারকা জুটি ওমর সানী-মৌসুমীর। তবে গত বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) মধ্যরাতে সানীর প্রকাশ করা ছবিতে দেখা মিলে পুরো পরিবারের। যেখানে দেখা যায়, একসঙ্গে বসে খাচ্ছিলেন মৌসুম ও তিনি। এরপর আসে ভিডিও। এর মাঝেই তাদের দুজনের আগের দেওয়া অডিও ও ভিডিওর এডিট করা বক্তব্যে কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছেন। আর তাতেই খেপেছেন ওমর সানী। দিয়েছেন অডিও বার্তা।
অডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘কিছুদিন যাবৎ দেখছি গণমাধ্যমে আমার আগের দেয়া বক্তব্য থেকে কিছু কিছু অংশ কেটে কেটে বাদ দিয়ে আপনারা অনেকে প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী ও আমাকে নিয়ে বাজে বাজে কথা প্রচার করছেন। শুধু তাই-ই নয়, আমার আর মৌসুমীকে নিয়ে নিজের মতো করে সংলাপ বানিয়ে কেউ কেউ তা প্রচার করছেন। এটি বিভ্রান্তিকর কাজ। এগুলো বাদ দেন। এগুলো থেকে অবশ্যই দূরে থাকুন। ’
তিনি আরো বলেন, ‘আপনারা কি জানেন, আমাদের মধ্যে যে সমস্যা ছিল, তা সবার দোয়া, ভালোবাসায় মিটে গেছে। আমরা এখন একই ছাদের নিচে আছি, আমরা একসঙ্গে আছি, এক ঘরেই আছি। আমি, মৌসুমী, ছেলেমেয়ে ফারদিন, ফাইজা, আমার ছেলের বউ আয়েশা আমরা একসঙ্গে আছি। ভালো আছি, সুখে আছি আমরা। ’
মৌসুমীর অডিও বার্তায় ওমর সানীকে ‘ভাই’ বলা প্রসঙ্গে বলেন, ‘রাগ করে ও অনেক সময় আমাকে ভাই বলে, আমিও তাকে আপনি করে বলি, ম্যাডাম বলি এতে তো কোনো সমস্যা দেখছি না।’
অডিও বার্তার একাংশে প্রশ্ন রেখে ওমর সানী বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কিছুটা খুনসুটি, হালকা দূরত্ব বা কাছে আসা কার না হয়। আপনি কি শুনছেন আপনার মা–বাবার মধ্যে এটি ছিল না? আপনার পাড়া-প্রতিবেশীর মধ্যে এটি দেখছেন না? বা আপনার নিজের মধ্যে কি এটি নেই? আমরা কি দুধে ধোয়া তুলসী পাতা? না, আমরা কেউই তা নয়। কেন মৌসুমীকে নিয়ে এসব বলছেন?’
উল্লেখ্য, ওমর সানী-মৌসুমীর সংসার ভাঙার গুঞ্জন জোড়ালো হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে জায়েদ খানের নামে সানীর দেওয়া অভিযোগের পর। অভিযোগে সানী জানান, জায়েদ খান তাদের ২৭ বছরের সুখের সংসার ধ্বংস করে দিচ্ছেন। এই কারণেই এর আগে অভিনেতা-প্রযোজক ডিপজলের ছেলের বিয়েতে বাধে সংঘর্ষ। সানী চড় মারেন জায়েদ খানকে। অভিযোগ আছে, জায়েদ খানও পিস্তল দিয়ে গুলি করার হুমকি দেন। চড় মারার কারণ হিসেবে সানী দাবি করেন, গত চার মাস ধরে জায়েদ মৌসুমীকে ডিস্টার্ব ও অসম্মান করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।