মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনা মহামারি মোকাবিলায় জারি করা লকডাউনেও এক প্রেমিক জুটির মনকে বেঁধে রাখা যায়নি। লকডাউনের দিনগুলোতে শুরু হওয়া দু’জনের প্রেম দিনে দিনে কেবলই গাঢ় হয়েছে। যদিও দু’জনের অবস্থান ছিল দুই মহাদেশে। একজন উত্তর আমেরিকায় তো আরেকজন এশিয়ায়। আরও ভালো করে বললে দক্ষিণ এশিয়ায়। -আনন্দবাজার
আর এবার করোনার প্রকোপ কমতেই দেশ-মহাদেশ পাড়ি দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে হাজির হয়েছেন মেক্সিকান সেই তরুণী। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হাওড়ায়। আগামী জুলাইয়ে সাত পাকে ঘুরে একে অপরের জীবনসঙ্গী হবেন তারা। অবশ্য প্রেমিকের বাড়িতে আসার পরই রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেছেন এই জুটি। সোমবার (২০ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কলকাতার সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, লেসলি দেলগাডো নামের মেক্সিকোর ওই তরুণীর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার বাসিন্দা অরিজিৎ ভট্টাচার্যের আলাপ হয়েছিল অনলাইন প্লাটফর্মে। সেসময় করোনার মহামারির সংক্রমণে রাশ টানতে চলছে লকডাউনের বিধিনিষেধ। গোটা বিশ্ব প্রায় থমকে গিয়েছিল। তবে সেই লকডাউনের মধ্যেই এগিয়ে যায় অরিজিৎ আর লেসলির প্রেম। হাওড়ার বালির দুর্গাপুর সাহেববাগান এলাকার বাসিন্দা অরিজিৎ বলছেন, করোনার সময় লকডাউন শুরু হলে বাড়ি থেকেই কাজ করতাম। কাজের পাশাপাশি সময় কাটাতে ইন্টারনেটই ছিল ভরসা। সেখানেই লেসলির সঙ্গে আলাপ হয় আমার।
রসিকতা করে তিনি বলেন, করোনা না এলে তো আমাদের আলাপও হতো না! অবশ্য সেই আলাপ গভীর সম্পর্কে পরিণত হতে সময় লাগেনি। তবে মহামারি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকায় অরিজিতের সঙ্গে লেসলির সাক্ষাতও অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। সেই বিধিনিষেধ উঠে যেতেই সুদূর মেক্সিকো থেকে পশ্চিমবঙ্গে উড়ে এসেছেন লেসলি। অরিজিৎ বলেন, পরিবারের সঙ্গে কথাবার্তা বলে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। গত রোববার (১৯ জুন) রেজিস্ট্রি করে বিয়ে হয়েছে আমাদের। তবে রেজিস্ট্রি করে বিয়ের পর সামাজিক অনুষ্ঠানও করতে চান এই যুগল। আর তাই আগামী ৫ জুলাই সাত পাকে বাঁধা পড়বেন দু’জনে। তাদের এই সিদ্ধান্তে আনন্দিত আরিজিতের বাবা বিনায়ক ভট্টাচার্য।
অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংককর্মী বিনায়ক বলেন, লেসলি অত্যন্ত ভালো মেয়ে। সবাইকে আপন করে নিয়েছে। আমাদের সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলার জন্য বাংলা এবং ইংরেজিও শিখছে। আর লেসলির সঙ্গে কথা বলার জন্য স্প্যানিশ ভাষা শিখেছে অরিজিৎ। অক্টোবর মাস পর্যন্ত হাওড়ায় থাকবেন অরিজিৎ এবং লেসলি। এরপর মেক্সিকোয় যাবেন তারা। সেখানে সামাজিক অনুষ্ঠানে আরও এক বার বিয়ে হবে তাদের। বিয়ে নিয়ে নিজের উত্তেজনার কথাও প্রকাশ করেছেন লেসলি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।