মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে দাবানলের মতো ছড়াচ্ছে ‘অগ্নিপথ’ বিক্ষোভ। সামাল দিতে হিমসিম খাবার যোগার। এর মধ্যে অগ্নিপথকে ইস্যু করে বেফাঁস মন্তব্যও কম হচ্ছে না। এবার অগ্নিবীরদের সঙ্গে নাৎসিদের তুলনা টানলেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যে সেনাকে অপমান করা হয়েছে বলে দাবি উঠেছে। ঠিক কী বলেছেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী?
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এইচডি কুমারস্বামী বলেন, "অগ্নিপথ যোজনা হচ্ছে আরএসএসের একটি লুকনো কর্মসূচি। এর মাধ্যমে সেনাকে নিজেদের কব্জায় নিতে চাইছে সংঘ। তুলনা টানলে জার্মানির নাৎসি পার্টির সঙ্গে। আর এই নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা নিতে পারে আরএসএস।" প্রসঙ্গত, আরএসএস হচ্ছে ভারতে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি’র মাতৃসংগঠন।
প্রথম পর্যায়ে ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পে প্রায় ১০ লাখ অগ্নিবীর নিয়োগ করা হবে। আরএসএস, না, সেনা কে এই নিয়োগ করবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কুমারস্বামী। নির্বাচিতদের মধ্যে আরএসএসের একটি দল থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। কুমারস্বামী আরও বলেন, "চার বছর পর প্রায় সাড়ে সাত লাখ অগ্নিবীরকে নাৎসি আমলের মতো ব্যবহার করা হবে।"
অগ্নিপথ নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতারাও। চার বছর পর অগ্নিবীরদের বিজেপি অফিসে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে নিয়োগ করা হবে বলে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। তার এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই মন্তব্যকে ঘিরে নতুন করে শুরু হয়েছে বিতর্ক। অগ্নিবীরদের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডিও। সেনাতে চুল কাটা ও কাপড় কাঁচার মতো প্রশিক্ষণ অগ্নিবীররা পাবেন বলে মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বেফাঁস মন্তব্যের জন্য চাপ বেড়েছে কেন্দ্রের শাসক দলের।
ইতিমধ্যে অগ্নিপথে ছাড় দেয়া হয়েছে বয়সের। ২১ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৩। শুধু তাই নয়। চার বছর পর অগ্নিবীরদের বিভিন্ন ক্ষেত্রের চাকরির আশ্বাস দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানার মতো রাজ্যগুলো। সেই সঙ্গে প্রতিরক্ষা থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়েও নিয়োগের পাশাপাশি দেয়া হয়েছে সংরক্ষণের আশ্বাসও। তা সত্ত্বেও বিক্ষোভের আঁচ এতটুকু না কমায় কেন্দ্রীয় সরকারের কপালে বেড়েছে চিন্তার ভাঁজ।
কেন্দ্র যখন সমস্যা সামাল দিতে একাধিক পরিকল্পনার পথে হাঁটছে, তখন অগ্নিবীরদের নিয়ে বিরোধী থেকে শুরু করে শাসক দলের বিতর্কিত মন্তব্য, সেই বিক্ষোভের আঁচকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। নতুন তিন কৃষি আইনের মতো অগ্নিপথ প্রকল্পও সরকার তুলে নিতে বাধ্য হবেন বলে ইতিমধ্যে ভবিষৎবাণী করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। একাধিক সুযোগের কথা ঘোষণার পরও বিক্ষোভ না কমায়, শেষে বাধ্য হয়ে কি প্রকল্প বন্ধ করে দেয়ার পথে হাঁটবে মোদী সরকার? উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।