Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মায়ের জন্মদিন পালনেও রাজনীতি মোদীর

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০২২, ২:৫৩ পিএম

মা হীরাবেনের শততম জন্মদিনকে স্মরণীয় করে রাখতে শনিবার সকাল থেকেই রাজনীতি শুরু করছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মাকে নিয়ে লিখলেন একটি দীর্ঘ ব্লগ, যেখানে শৈশব এবং যৌবনের সংগ্রামের কথা উল্লেখ করে দিয়েছেন রাজনৈতিক বার্তা।

শনিবার মিডিয়াকে নিয়েই মোদী প্রবেশ করেন গুজরাতের গান্ধীনগরে মাতৃগৃহে। দেখা গেল, মায়ের পা ধুইয়ে, তোয়ালে দিয়ে পা মুছিয়ে, সেই পানি গভীর শ্রদ্ধায় চোখে ছোঁয়ালেন মোদী। অথচ মাকে নিজের সাথে রাখেন না। মাকে নিয়ে লেখা ব্লগটিতে (যা একইসঙ্গে প্রকাশিত হল ভারতের বিভিন্ন ভাষায়) তিনি লেখেন, পিতৃবন্ধুর অকালপ্রয়াণে তার ছেলে ‘আব্বাস’ তার পরিবারের সঙ্গেই বড় হন। ঈদের দিন হীরাবেন সেই আব্বাসের প্রিয় পদটিও রাঁধতেন।

রাজনৈতিক শিবির বলছে, মার জন্মদিনকে কেন্দ্র করে দেশের সংবাদমাধ্যমের সামনে এমন নাটকীয় আয়োজন ও অনুষ্ঠান দেশের ইতিহাসে বিরল। এ ক্ষেত্রেও মোদী অন্যদের তুলনায় এগিয়ে। একইসঙ্গে নিজের পরিবারেই ঈদ পালনের প্রসঙ্গ তুলে অসাম্প্রদায়িক পরিবেশে বড় হয়ে ওঠার রাজনৈতিক বার্তাও দিয়েছেন মোদী। বিস্তারিত ভাবে লিখেছেন নিজের কঠোর অনুশাসন, সংস্কার এবং বৈষয়িক স্বার্থের প্রতি উদাসীন থেকে মানবসেবার শৈশবপ্রোথিত প্রবণতার কথাও।

মোদীর কথায়, “অন্য মানুষের আনন্দে মা খুশি হন। আমাদের বাড়ি খুব ছোট ছিল ঠিকই কিন্তু মার হৃদয় ছিল বিশাল। কাছাকাছি গ্রামে বাবার এক বন্ধু থাকতেন। অকালে তার মৃত্যুর পরে, তার ছেলে আব্বাসকে বাবা আমাদের বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন। আমাদের বাড়ি থেকেই আব্বাস তার পড়াশোনা শেষ করেছিল। আমাদের ভাই-বোনদের প্রতি মা যতটা যত্নবান ছিলেন আব্বাসের প্রতিও ততটাই। প্রতি বছর ইদে মা ওর পছন্দের খাবার তৈরি করতেন। উৎসবের সময় পাড়ার সব বাচ্চারা আমাদের বাড়ি আসত মায়ের তৈরি খাবারের লোভে।”

এর পরেই হিন্দু সাধুর প্রসঙ্গে এসেছেন মোদী। বলেছেন, “পাড়ায় কোনও সাধু এলে, মা তাদের এক বার বাড়িতে ডাকবেনই। নিজের জন্য কিছু চাইতেন না, কিন্তু চাইতেন সাধুরা তার সন্তানদের আর্শীবাদ করুন। বলতেন, আমার সন্তানদের আর্শীবাদ করুন যাতে ওরা অন্যের খুশিতে খুশি হতে পারে আর অন্যের দুঃখে সহমর্মী হয়। ওদের মনে যেন ভক্তি আর সেবার মনোভাব থাকে।” বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব কথার মাধ্যমে হিন্দু-মুসলিম উভয়কেই খুশি করার চেষ্টা করলেন ঝানু রাজনীতিবিদ মোদী। সূত্র: টাইমস নাউ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ