মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) কে নিয়ে অসম্মান ও অপমানজনক মন্তব্য করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করা মুসলিমদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনের বাড়ি গুড়িয়ে দিয়েছে সরকারি বুলডোজার। এবার যাদেরকে ধরা সম্ভব হয়নি তাদের পোস্টার ছাপিয়েছে প্রশাসন।
সংবাদ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার বিক্ষোভে অংশ নেয়া ৫৯ জনের ছবি প্রকাশ করেছে উত্তরপ্রদেশের সংশ্লিষ্ট প্রয়াগরাজ থানা। তাদের গ্রেফতার করতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা, সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে এসব ছবি ও পোস্টার ছাপানো হচ্ছে।
প্রয়াগরাজ থানার তরফে বলা হয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে এই ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হবে যাতে সাধারণ মানুষও অভিযুক্তদের চিনতে পারে।
প্রয়াগরাজের এসএসপি অজয় কুমার জানিয়েছেন, 'ওইদিনের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে আমাদের কাছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, বেশ কিছু মানুষ পাথর ছুঁড়েছে। অন্যান্য ধ্বংসাত্মক কাজেও জড়িত ছিল অভিযুক্তরা। কিন্তু এখনও তাদের চেনা যায়নি, ফলে গ্রেফতার করা যায়নি। সেই জন্যই সাধারণ মানুষের সাহায্য চেয়েছি আমরা।'
তার দাবি, আইন মেনেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
মুসলিমদের বিক্ষোভ দমন করতে প্রতি শুক্রবার বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। পুুলিশের দাবি, শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তবে বিশিষ্টজনেরা বলছেন, মূলত মুসলিমদের দমন করতেই এমন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মুসলিমদের ওপর দমন পীড়ন বেড়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ স. কে নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য করার প্রতিবাদে গত শুক্রবার ভারতজুড়ে বিক্ষোভ করে মুসলিমরা। পুলিশ ও হিন্দুত্ববাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে দুই জন প্রাণ হারান। এরপর অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ এনে কয়েকটা বাড়ি গুড়িয়ে দেয় যোগী প্রশাসন।
রোববার প্রয়াগরাজে জাভেদ মুহাম্মদ নামের একজনের বাড়ির একাংশ পৌরসভার বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়। পুলিশের দাবি, শুক্রবারের অশান্তির মূলচক্রী ছিলেন জাভেদ। যদিও সেই কারণে তার বাড়ি ভাঙা হয়নি বলে দাবি প্রশাসনের। তাদের যুক্তি, এসব বাড়ি বেআইনিভাবে নির্মিত হয়েছে।
জামিয়াত উলেমা-ই-হিন্দের তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টে দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সঠিক প্রক্রিয়া না মেনেই বাড়ি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। ১২ জন আইনজীবী যৌথভাবে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি এনভি রামানাকে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার বুলডোজার ইস্যু নিয়ে শুনানি শুরু হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।