মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দীর্ঘ ৪১ বছর পর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের হত্যাচেষ্টাকারী জন হিঙ্কলি সম্পূর্ণভাবে মুক্তি পেয়েছেন। ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের একটি মানসিক হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর গতকাল বুধবার তিনি সম্পূর্ণভাবে তাঁর স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছেন।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ওয়াশিংটনের একটি আদালত রায় দেয় যে, কয়েক দশক ধরে চিকিৎসা এবং মানসিক পর্যালোচনার পর দেখা গেছে, হিঙ্কলি সাধারণ মানুষের জন্য আর কোনো হুমকি নয়। তাঁর জীবনের ওপর আরোপ করা শর্তগুলো ১৫ জুন তুলে নেওয়া হবে।
হিঙ্কলি এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘দীর্ঘ ৪১ বছর ২ মাস ১৫ দিন পর অবশেষে মুক্তি।’
হিঙ্কলির বর্তমান বয়স ৬৭। ১৯৮১ সালের ৩০ মার্চ ওয়াশিংটনের একটি হোটেলের বাইরে হিঙ্কলির গুলিতে সাবেক প্রেসিডেন্ট রিগ্যানসহ চারজন আহত হন। ওই সময় হিঙ্কলি বলেন, ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’ সিনেমার অভিনেত্রী জোডি ফস্টারকে প্রভাবিত করার জন্য তিনি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।
গুলির ঘটনায় কেউ মারা না গেলেও রিগ্যানের তৎকালীন প্রেসসচিব জেমস ব্রাডির মাথায় গুলি লাগার কারণে তাঁর শরীরের বাম পাশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যায়।
তবে এই ঘটনায় ১৯৮২ সালে আদালতে হিঙ্কলি মানসিক বিকারগ্রস্ত বলে প্রমাণিত হয়। এ জন্য তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি। তবে চিকিৎসার জন্য তাঁকে ওয়াশিংটনের একটি মানসিক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে তিনি ৩৪ বছর ছিলেন।
এরপর ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে হাসপাতাল থেকে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হলেও তাঁর জীবনাচরণের ওপর বিভিন্ন শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। বিধিনিষেধের দীর্ঘ তালিকার অধীনে ভার্জিনিয়ার উইলিয়ামসবার্গে হিঙ্কলি তাঁর বৃদ্ধ মায়ের সঙ্গে বসবাস করেন।
তাঁর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ, ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং অনলাইন অ্যাকাউন্টের ওপর নজরদারি করা হতো। এ ছাড়া ফস্টারের সঙ্গে যোগাযোগ, বর্তমান বা সাবেক কোনো প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট বা কংগ্রেসের সদস্য উপস্থিত থাকবেন এমন কোনো এলাকায় ভ্রমণ করতে তাঁকে নিষেধ করা হয়েছিল।
গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলা, ইন্টারনেটে কোনো লেখা বা স্মারক পোস্ট করার ওপরও নিষেধাজ্ঞা ছিল।
গত ১৯ মে আদালতে দাখিল করা তাঁর অবস্থা সম্পর্কে একটি সরকারি প্রতিবেদনে বলা হয়, হিঙ্কলির মানসিক স্বাস্থ্য ‘স্থিতিশীল’ এবং তাঁর মানসিক অসুস্থতা দূর হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হিঙ্কলি গান গাওয়া, গিটার বাজানো এবং ইউটিউব এবং অন্যান্য সংগীত সাইটে দেশীয় লোকগান গাইতে শুরু করেছেন। গত বছরের ডিসেম্বরে তিনি তাঁর গানের একটি সিডি বের করারও ঘোষণা দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।