যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা গিয়াস আহমেদ, জিল্লুর রহমান জিল্লু ও মিজানুর রহমান মিল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য পদে যুক্ত হলেন
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির তিন নেতাকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগ প্রাপ্তরা হলেন
সউদী আরবের মদিনাস্থ দাল্লা কোম্পানীতে কর্মরত প্রায় তিন হাজার বাংলাদেশি কর্মীদের ফাইনাল এক্সিট ভিসা দিয়ে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। গতকাল বুধবার মদিনায় এসব বাংলাদেশি কর্মীদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড় করিয়ে বাছাই করে ফাইনাল এক্সিট ভিসা লাগানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এসব প্রবাসী কর্মী চরম হতাশায় ভুগছেন। কোম্পানীটিতে অন্যান্য দেশের অভিবাসী কর্মীরা ক্লিনার হিসেবে কাজ করলেও শুধু বাংলাদেশি কর্মীদের ফাইনাল এক্সিট ভিসা দিয়ে কেন বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে তা’ বোধগম্য নয়।
বিষয়টি জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের লেবার কাউন্সেলর কাজী এমদাদাল ইসলামকে আগেই অবহিত করা হয়েছিল। কনস্যুলেট থেকে এ ব্যাপারে তড়িৎ কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় এসব বাংলাদেশি কর্মীদের অনিশ্চয়তার মুখে দেশে ফিরতে আসতে হচ্ছে। সউদী আরব থেকে নির্ভরযোগ্য সূত্র এতথ্য জানিয়েছে। এ ব্যাপারে গতকাল বুধবার বাংলাদেশ কনস্যুলেটের লেবার কাউন্সেলর কাজী এমদাদুল ইসলামের মোবাইলে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
সউদী আরবে অবস্থানরত প্রবাসীদের বৈধ পথে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। বুধবার প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে লেখা খোলা চিঠিতে রাষ্ট্রদূত এ আহ্বান জানান। খোলা চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘আপনারা সকলে অবগত আছেন, করোনা উত্তর পরিস্থিতিতে যখন আমাদের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল সেসময় রাশিয়া– ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল, গ্যাস, সারসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে সারা বিশ্বের মতো আমরাও এক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত প্রবাসীদের পাঠানো প্রায় ১ হাজার ৯২০ কোটি ডলার রেমিট্যান্সের মধ্যে শুধুমাত্র সউদী আরব প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৪২০ কোটি ডলার। দেশের অর্থনীতিতে আপনাদের এই গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য আমি আপনাদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই।’ তিনি লেখেন, প্রবাসীদের দেশে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহ দিতে সরকার ইতিপূর্বে রেমিট্যান্ন্সের ওপর ২ শতাংশ প্রণোদনা দিয়েছে, যা বর্তমানে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে। প্রবাসী যে কেউ এখন থেকে এক লাখ টাকা দেশে পাঠালে সাথে আরও ২ হাজার ৫০০ টাকা প্রণোদনা হিসেবে পাবেন। ইতিপূর্বে ৫ লাখের বেশি টাকা পাঠালে প্রণোদনার টাকা পেতে হলে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ব্যাংকে জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল, কিন্তু বর্তমানে যেকোনো অংকের টাকা পাঠানো হোক না কেন, কোন কাগজপত্র জমা দেয়া ছাড়াই প্রণোদনার টাকা ব্যাংকে জমা হয়ে যাবে।
প্রবাস জীবন বিভাগে সংবাদ পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।