মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কয়েকমাসের রাজনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর রেকর্ড শাসনাবসানের একবছর পরই পতনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে ইসরাইলে ভঙ্গুর ক্ষমতাসীন জোট সরকার। সম্প্রতি পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর কারণে মৌলিক কিছু আইন পাসে ব্যর্থ হয়ে এখন সুতোয় ঝুলছে প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াইর লাপিদের নেতৃত্বধীন জোট সরকারের ভাগ্য। আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই ইসরাইলে আগাম নির্বাচনের পট প্রস্তুত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে রোববার সরকার টিকিয়ে রাখতে লড়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন বেনেট এবং লাপিদ দুইজনই। সরকারের কিছু অর্জনও তুলে ধরেছেন তারা। এর মধ্যে আছে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানো এবং বাজেট ঘাটতি দূর করাসহ আরও কিছু বিষয়। মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকের শুরুতে বেনেট বলেছেন, “আমরা জাতীয় পরিত্রাণের সরকার প্রতিষ্ঠার একবছর পালন করছি। যে কোনও সৎ মানুষই একথা স্বীকার করবে যে, এই সরকার দেশের সবচেয়ে ভাল সরকারগুলোর অন্যতম। নেসেটে এযাবৎকালের সবচেয়ে কঠিন একটি জোটের ওপর এ সরকার নির্ভর করে আছে।” “আমরা আশাহত হব না এবং ভেঙেও পড়ব না,” বলেন তিনি। ইসরাইলে দুই বছরের মধ্যে চতুর্থ নির্বাচনের পর ৫০ বছর বয়সী বেনেট এবং ৫৮ বছর বয়সী লাপিদ গতবছর জুনে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ১২ বছরের প্রধানমন্ত্রীত্বের অবসান ঘটিয়ে এই জোট সরকার গঠন করেন। এ জোটে আছে ডানপন্থি, মধ্যপন্থিরাসহ মুসলিম আরব দলগুলো। বেশ কিছু ছোট ও মাঝারি দলও জোটে শরিক হয়েছে। এর মধ্যে আছে ইসরাইলের ২১ শতাঙ্ক আরব সংখ্যালঘুর প্রতিনিধিত্বকারী দল দ্য ইউনাইটেড আরব লিস্ট। প্রথমবারের মত এরা ইসরাইলের ক্ষমতার অঙ্ক হয়েছে। এই বিভিন্ন দল জোটভুক্ত হয়ে নেতানিয়াহুকে সরিয়ে সরকারে আসতে পারলেও দীর্ঘমেয়াদে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখার মতো যথেষ্ট শক্তিমত্তার প্রমাণ দিতে পারেনি। তাই পার্লামেন্টে যথেষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকা এবং ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের মতো প্রধান বিষয়গুলোতে গভীর মতবিভেদ নিয়ে এই জোট সরকার আর ঐক্য ধরে রাখতে পারছে না। ফলে পতন এখন অনিবার্য হয়ে উঠেছে, বলছেন বিশ্লেষকরা। গতবছরই বেনেট তার ডানপন্থি ইয়ামিনা জোটের দুই সদস্যের সমর্থন হারিয়ে পার্লামেন্ট নেসেটের ১২০ আইনপ্রণেতার মধ্যে মাত্র ৬০ জনের সমর্থন ধরে রাখতে পেরেছিলেন। এখন আবার আরেক সদস্যের সমর্থন হারাতে চলেছেন তিনি। আবার গত মার্চে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াইর লাপিদ নেসেটে ইসরাইল আরব সংখ্যালঘু দলের দুই সদস্যের সমর্থন টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন। সমর্থন ধরে রাখা নিয়ে এই সংগ্রামের কারণে বেনেট সরকার গুরুত্বপূর্ণ নানা বিষয়ে পার্লামেন্টের ভোটে পরাজিত হচ্ছে। অতিসম্প্রতি অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারীদের আইনি সুরক্ষা বিল (সেটলার আইন) সংক্রান্ত ভোটাভুটিতে হেরে পতনের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে জোট সরকার। এ ভোটই প্রমাণ করেছে নতুন সরকার কতটা ভঙ্গুর। পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের জন্য বেসামরিক আইনি অধিকার নবায়ন বিলের প্রথম পদক্ষেপ ব্যর্থ হয়েছে। বিলটি পাসের পদক্ষেপ হয়ত আবার নেওয়া হবে এবং চূড়ান্তভাবে এটি পাসে ব্যর্থ হলে জোটের পতন ঘটে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ডিসেম্বর কিংবা এপ্রিলের মধ্যেই ইসরাইলে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে জানিয়েছেন নেতৃস্থানীয় এক রাজনৈতিক বিশ্লেষক। তিনি বলেন, ইসরাইল সরকার “হাতে সময় পাওয়ার জন্য এখন কেবল সময়ক্ষেপণ করছে।” জেরুজালেম পোস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।