মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মহানবী হযরত মুহাম্মদ স. কে নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করায় মুসলিমদের বাড়িঘর ভেঙে দিচ্ছে ভারতের উত্তর প্রদেশের যোগী সরকার। গত মাসে বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মা মহানবীকে নিয়ে অসম্মানজনক মন্তব্য করেন।
গত শুক্রবার ভারতজুড়ে বিক্ষোভ করে মুসলিমরা। পুলিশ ও হিন্দুত্ববাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে দুই জন প্রাণ হারান। এরপর অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ এনে দুটি বাড়ি গুড়িয়ে দিয়েছে যোগী প্রশাসন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার
রোববার প্রয়াগরাজে জাভেদ মুহাম্মদ নামের একজনের বাড়ির একাংশ পৌরসভার বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়। পুলিশের দাবি, শুক্রবারের অশান্তির মূলচক্রী ছিলেন জাভেদ। যদিও সেই কারণে তার বাড়ি ভাঙা হয়নি বলে দাবি প্রশাসনের। তাদের যুক্তি, এসব বাড়ি বেআইনিভাবে নির্মিত হয়েছে।
তবে যোগী প্রশাসন যে বেছে বেছে মুসলিমদের বাড়ি ভাঙছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, জাভেদের বাড়ির গেট, বাইরের পাঁচিল গুঁড়িয়ে দিচ্ছে বুলডোজার। বাড়ির ভিতরে পৌরসভা ও পুলিশের টিম। ঘরের আসবাব, জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
পৌরসভার দাবি, বাড়িটির দোতলার নির্মাণ হয়েছে বেআইনিভাবে। গত মে মাসে জাভেদকে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। ৯ জুনের মধ্যে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি কোনো জবাব দেননি। রোববার সকাল ১১টার মধ্যে বাড়ি খালি করতে বলা হয়েছিল।
শুক্রবারের অশান্তির মূল অভিযুক্ত দাবি করে জাভেদকে আগেই আটক করেছে পুলিশ। প্রয়াগরাজের সিনিয়র পুলিশ সুপার অজয় কুমারের বক্তব্য, ''মাস্টারমাইন্ড জাভেদ মুহাম্মদকে আটক করা হয়েছে''
এদিকে জাভেদের মেয়ে ও সমাজকর্মী আফরিন ফতিমার দাবি, কোনো ওয়ারেন্ট ছাড়াই তার পরিবারের সদস্যদের আটক করা হয়েছে। এ নিয়ে মহিলা কমিশনে অভিযোগও জানান তিনি।
এই ঘটনার নিন্দায় সরব 'জামিয়াত উলেমা-ই-হিন্দ'-এর জেনারেল সেক্রেটারি মাওলানা হাকিমউদ্দিন কাশমি-ও। তার বক্তব্য, 'মহানবীর অপমান কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেশের প্রতিটি নাগরিক এবং মুসলিমের সাংবিধানিক এবং গণতান্ত্রিক অধিকার। যথেচ্ছ গ্রেপ্তারি, গুলিচালনা ও বুলডোজার চালিয়ে এই অধিকার থেকে মানুষকে বঞ্চিত করা যেকোনো গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে লজ্জার।'
এদিকে বিক্ষোভ থেকে আটক করা মুসলিমদের থানায় নিয়ে ব্যাপক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। রোববার কয়েকটি ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের একটি জেলের ভিডিও শেয়ার করেছেন এক বিজেপি এমপি। ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, ‘লাঠি দিয়ে ৯ জন কারাবন্দী মুসলিমকে বেধরক পেটাচ্ছেন দুই ভারতীয় পুলিশ সদস্য। একের পর এক লাঠির ঘা পড়ছিল তাদের পা ও কোমরে। আর বন্দীরা তীব্র ব্যাথায় চিৎকার করছিলেন।’
সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম্যেও এ ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। এ ভিডিওিতে আরও দেখা গেছে, ‘ভারতীয় পুলিশ সদস্য কর্তৃক তীব্র মারপিটের সময় ওই বন্দী মুসলিমরা প্রহার বন্ধ করার জন্য আকুল আবেদন করছেন। এ সময় তারা তাদের হাত দিয়ে আঘাত ঠেকানোর চেষ্টাও করছিলেন।’
শালাভ মণি ত্রিপাঠী নামের ওই বিজেপি এমপি এ ভিডিওতে মন্তব্য করেছেন যে ‘দাঙ্গাবাজদের রিটার্ন গিফট।’ এরপরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন ওই এমপি। একইসাথে প্রশ্ন উঠছে জেলের মধ্যে ভারতীয় পুলিশকর্মীদের নৃশংসতা নিয়েও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।