মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা:-কে নিয়ে ক্ষমতাসীন বিজেপির দুই নেতার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ভারতজুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক প্রতিবাদ। গত শনিবার উত্তর প্রদেশের কানপুরে ভয়াবহ সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এক সপ্তাহ পরে সেই বিক্ষোভের মূল নেতৃত্বদানকারীর এক আত্মীয়ের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেয়া হয়েছে।
এহেন অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা যোগী আদিত্যনাথের মিডিয়া উপদেষ্টা মৃত্যুঞ্জয় কুমারের একটি টুইট ঘিরে ফের চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নেটদুনিয়ায়। হরিয়ানা বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অরুণ যাদবও টুইট করে বলেছেন, ‘পাথর ছোঁড়ার পাল্টা হতে পারে বুলডোজার।’
কানপুরের জয়েন্ট কমিশনার অফ পুলিশ আনন্দ প্রকাশ তিওয়ারি জানিয়েছেন, “গত শনিবারের সহিংসতার ঘটনায় ‘মূল অভিযুক্ত’ জাফর হায়াত হাশমির ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির বাড়ি ভেঙে দিয়েছে কানপুর ডেভলপমেন্ট অথরিটি। আইন মেনেই এই বাড়ি ভাঙার কাজ করা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, জাফরসহ পাঁচজনকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখতে নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় আদালত।
শুক্রবার উত্তর প্রদেশের নানা জায়গায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। পাথর ছোড়াসহ নানা অভিযোগে মোট ২২৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবারের জুমার নামাজ শেষ হওয়ার পরে প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পুলিশ। শনিবার অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়।
এই প্রেক্ষিতেই আবারো বিজেপি নেতাদের টুইট নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
মৃত্যুঞ্জয় কুমার একটি বুলডোজারের ছবি দিয়ে টুইট করেছেন, ‘হামলাকারীরা মনে রাখবেন, প্রত্যেক শুক্রবারের পরে কিন্তু শনিবার আসে।’ এই টুইট ঘিরেই বিতর্ক শুরু হয়েছে।
কিছুদিন আগেই রামনবমীতে সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলা ছড়ানোর পরে বুলডোজার চালিয়ে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছিল বিজেপিশাসিত দিল্লি বোর্ড। তারপর থেকেই বুলডোজারকে সরকারি বলপ্রয়োগের চিহ্ন হিসেবে মনে করেন অনেকেই।
বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে সামনে এসেছে আরেক বিজেপি নেতার টুইট। অরুণ যাদবের সেই টুইটেও লেখা রয়েছে বুলডোজার প্রসঙ্গ। তিনি লিখেছেন, ‘শুক্রবার পাথর ছোড়ার দিন ছিল। এবার তাহলে শনিবার বুলডোজার চালানোর দিন হিসেবে ঘোষণা করা হোক।’
এই দু’টি টুইট দেখে অনেকের প্রশ্ন, তবে কি দিল্লির মতো উত্তর প্রদেশেও উচ্ছেদ অভিযান করতে চাইছে সরকার?
শুক্রবারের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে বসেছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। সেই বৈঠকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “যে ‘সমাজবিরোধীরা’ শুক্রবার হামলা চালিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়া হবে। সভ্য সমাজে এই ধরনের মানুষের জায়গা নেই। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন নির্দোষ ব্যক্তিদের কোনো ক্ষতি না হয়। তবে একজন অপরাধীও ছাড় পাবে না।”
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।