Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঢাবি ‘ক’ ইউনিটে আসন প্রতি ৬৩ প্রতিদ্বন্দ্বী

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ জুন, ২০২২, ১২:০১ এএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এতে ১ হাজার ৮৫১টি আসনের বিপরীতে ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১৫ হাজার ৭২৬ জন। সে হিসেবে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়াই করতে হয়েছে ৬৩ শিক্ষার্থীকে। পাঁচ অনুষদ ও পাঁচ ইনস্টিটিউটের এই পরীক্ষায় ছিল এবারের ভর্তি পরীক্ষার সর্বোচ্চ আবেদনকারী। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঢাকাসহ বিভাগীয় ৮ শহরে একযোগে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান, প্রো-ভিসি (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভিসি (শিক্ষা) প্রফেসর ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, ট্রেজারার প্রফেসর মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ‘ক’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়কারী ও ফার্মেসী অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, প্রক্টর প্রফেসর ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীসহ সংশ্লিষ্টরা কার্জন হল পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে ভিসি ড. মো. আখতারুজ্জামান ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজন ও অনুষ্ঠিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, নিয়মনীতি যথাযথভাবে অনুসরণ করে স্বচ্ছ ও সুশৃঙ্খলভাবে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রদানে শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ নিয়োজিত রয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সুশৃঙ্খলভাবে অংশগ্রহণের জন্য পরীক্ষা ব্যবস্থাপনার মধ্যে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে আসা ও অংশগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, জনসমাগম ও পরিবেশ দূষণ না করা এবং যানবাহন চলাচল সীমিত রাখার জন্য অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সকল মহলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এসময় অভিভাবকদের ভিড় কমাতে অনুরোধ করে ভিসি বলেন, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা নিজ দায়িত্বে পরীক্ষায় অংশগ্রহণে আসলে তারা স্বাবলম্বী, দক্ষ ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে সার্বিকভাবে সহযোগিতা প্রদানের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের কর্তৃপক্ষ, গণমাধ্যম এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরকে ধন্যবাদ জানান।
‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার নম্বর ছিল ১২০। এর মধ্যে এমসিকিউ’র জন্য ৬০ আর লিখিত বা বর্ণনামূলকের জন্য ছিল ৪০ নম্বর। এসএসসি ও এইচএসসির ফলের ওপর ছিল বাকি ২০ নম্বর। এমসিকিউ’র জন্য শিক্ষার্থীরা সময় পেয়েছিল ৪৫ মিনিটি এবং লিখিত পরীক্ষার জন্যও একই সময় বরাদ্দ ছিল।
‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ অনুষদ ও পাঁচ ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি নেয়া হয়। অনুষদগুলো হলো- বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ফার্মেসি, আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদ। অন্যদিকে ইনস্টিটিউটগুলো হলো- পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউট, ইনস্টিটিউট অফ লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঢাবি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ