মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অসুস্থ মেয়ে শিশুকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। পরিবারের সদস্য আর চিকিৎসকদের চেষ্টার মধ্যেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমায় সে। এ পরিস্থিতিতে মেয়ের লাশ বাড়িতে আনতে প্রয়োজন ছিল একটি অ্যাম্বুলেন্সের। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অ্যাম্বুলেন্স না দেওয়ায় এবং নিজেও কোনো ব্যবস্থা করতে না পেরে মেয়ের লাশ অনেকটা রাস্তা কাঁধে করেই বাড়িতে নিয়ে গেছেন এক বাবা। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের ছাতারপুর জেলায়। গতকাল এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেয়ের মৃত্যুর পর তাকে গ্রামে ফিরিয়ে নিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না করায় চার বছর বয়সী মেয়ের লাশ কাঁধে করে বাড়ি নিয়ে যান এক ব্যক্তি। কাঁধে করে মেয়ের লাশ বহন করার একটি ভিডিও ইতোমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্লাটফর্মে।
মৃত ওই শিশুটির পরিবার জানিয়েছে, মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর তাকে চিকিৎসার জন্য গত সোমবার প্রথমে মধ্যপ্রদেশের বক্সওয়াহা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেওয়া হয়। তবে সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের সদস্যরা মঙ্গলবার তাকে পার্শ্ববর্তী দামোহ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু সেদিনই মারা যায় শিশুটি।
শিশু ওই মেয়েটির দাদা মনসুখ আহিরওয়ার অভিযোগ করেছেন, তারা মেয়েটির লাশ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য হাসপাতালের কর্মীদের কাছে একটি অ্যাম্বুলেন্স চেয়েছিলেন। কিন্তু তাদের কাছ থেকে ইতিবাচক কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তিনি আরো বলেন, ‘তারপর আমরা তার লাশকে একটি কম্বলে মুড়িয়ে বক্সওয়াহার উদ্দেশ্যে একটি বাসে চড়ি। কারণ আমাদের কাছে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবস্থা করার জন্য যথেষ্ট টাকা ছিল না।’ মেয়েটির বাবা লক্ষ্মণ আহিরওয়ার বলেন, বক্সওয়াহায় পৌঁছার পর লাশটি পাউদি গ্রাম পর্যন্ত নিয়ে যেতে তারা সেখানকার নগর পঞ্চায়েতকে একটি গাড়ি সরবরাহ করতে অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা কোনো ধরনের গাড়ির ব্যবস্থা করতে অস্বীকার করে।
দামোহ জেলার সিভিল সার্জন ডা. মমতা তিমোরি অবশ্য মৃত মেয়ের পরিবারের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, ‘কেউ আমার কাছে আসেনি, আমাদের কাছে হার্স ভ্যান (মৃতদেহ বহন করার গাড়ি) আছে। এছাড়াও আমরা রেডক্রস বা অন্য কোনো এনজিও থেকেও গাড়ির ব্যবস্থা করতে পারি।’
এনডিটিভি বলছে, এ ধরনের ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে সাগর জেলার একজন ব্যক্তিকে তার ভাইয়ের লাশ গাধাকোটা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে হাতেটানা একটি গাড়িতে করে নিয়ে যেতে হয়েছিল। ভগবান দাস নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, ‘আমি একটি হার্স ভ্যান চেয়েছিলাম, কিন্তু এটির ব্যবস্থা করা হয়নি। অন্যদিকে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবস্থা করার মতো টাকা আমাদের কাছে না থাকায় আমরা তার লাশ একটি হাতেটানা গাড়িতে করে নিয়ে যাই।’
এই অভিযোগের বিষয়ে ব্লক মেডিকেল অফিসার ডা. সুয়শ সিংহাই বলেন, ‘ওই রোগীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। কর্তব্যরত ডাক্তার পরিবারকে ময়নাতদন্ত করার পরামর্শ দিলেও তারা সেটি না করেই লাশ নিয়ে যায়।’ এছাড়া একই রাজ্যের ভগবানপুরা খারগোন জেলায় এক গর্ভবতী নারী হাসপাতালে পৌঁছতে না পেরে পথেই মারা যান। তার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করার জন্য অনেক চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত তারা ব্যর্থ হয়েছেন। বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। সূত্র : এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।