Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ভারতে ইসলাম-বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য টিভি চ্যানেলগুলো দায়ী

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০২২, ২:৫২ পিএম

মহানবী (সাঃ) কে নিয়ে বিজেপির দুই মুখপাত্রের বিতর্কিত মন্তব্যে জুনের প্রথম সপ্তাহেই সহিংসতা ছড়ায় কানপুরে। লাগাতার ধরপাকড়ের পরে প্রকাশ্য রাস্তায় সংঘর্ষ থামলেও শহরের বহু এলাকাই এখনও থমথমে। এমন পরিস্থিতি তৈরির জন্য ভারতের টিভি চ্যানেলগুলোর একাংশের 'দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ'কেও বুধবার কাঠগড়ায় তুলল এডিটর্স গিল্ড অফ ইন্ডিয়া (ইজিআই)।

রীতিমতো বিবৃতি জারি করে সেই সব চ্যানেলগুলির উদ্দেশে গিল্ডের আহ্বান- ‘'দয়া করে আপনারা এ বার থামুন। ভিউয়ারশিপ বাড়াতে আর নিজেদের মুনাফা কামাতে কানপুরের ওই ঘটনার সময়ে আপনারা যা করেছেন, এ বার বোধ হয় নিজেদেরই তা যাচাই করার সময় এসেছে।’' বিশেষজ্ঞদের দাবি, নব্বইয়ের দশকে আফ্রিকায় গণনিধন কাণ্ডে সবচেয়ে বড় উস্কানি ছিল দায়িত্বজ্ঞানহীন মুনাফালোভী 'রেডিও রোয়ান্ডা'র। কানপুরের ঘটনায় কিছু চ্যানেলের ভূমিকা আফ্রিকার কুখ্যাত ওই রেডিও স্টেশনের মতো বলেও এদিন তোপ দেগেছে গিল্ড।

শুধু হিংসায় উস্কানি নয়, কিছু চ্যানেলের দায়িত্বজ্ঞানহীন খবর ও সঞ্চালনার জেরে গোটা দেশেরই অকারণে মুখ পুড়েছে বলে দাবি করে টিভি চ্যানেলগুলির উপরে আরও কড়া নজরদারির ডাক গিয়েছে গিল্ড। সংস্থাটির কথায়, যদি ওই চ্যানেলগুলি সাংবদিকতার ন্যূনতম এথিক্স এবং সংবিধানের দেয়া ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতিশ্রুতি মেনে চলত, তা হলে হয়তো দেশের পক্ষে সম্মানহানিকর এমন পরিস্থিতি তৈরিই হতো না।

নূপুর শর্মা ও নবীন জিন্দলের মন্তব্যের জেরে ১৬টিরও বেশি ইসলামিক দেশ একযোগে ভারতের নিন্দা করে বয়কটের ডাক দিয়েছে। অনেকেই বলছেন, এর পিছনে একটা বড় খেলা খেলেছে সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি মূলস্রোতের সংবাদমাধ্যমেরও একাংশ। গিল্ডও কার্যত তাতেই সায় দিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সূত্র: টিওআই।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ