মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পশ্চিমতীরে ফিলিস্তিনিদের জমি দখল করে নির্মাণ করা ইহুদি বসতিগুলোকে বৈধতা দিতে সোমবার বিল উত্থাপন করা হয়েছে ইসরাইলের পার্লামেন্ট নেসেটে। কিন্তু দেশটির ক্ষমতাসীন জোট সরকার বিতর্কিত এ বিলটি পাস করতে ব্যর্থ হওয়ায় অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে ইসরাইল সরকার। সোমবার ১২০ আসনের নেসেটে ৫৮ জন এমপি বিলটির বিপক্ষে ভোট দেন, পক্ষে দেন ৫২ জন। বিলটি ছিল ৮ দলের সমন্বয়ে গঠিত ক্ষমতাসীন জোটের জন্য একটি অগ্নিপরীক্ষা। ২০২১ সালে জুনে ৮ দলের ৬১ জন এমপির সমর্থন নিয়ে জোট সরকার গঠিত হয় ইসরাইলে। কিন্তু বছর না ঘুরতেই নড়বড়ে হয়ে গেছে দেশটির জোট সরকার। জেরুজালেমে ইহুদিবাদীদের হামলার প্রতিবাদে মুসলিম এমপিরা সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করায় বেকায়দায় পড়েছে প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট। আনাদোলু এ খবর জানায়। এদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট বলেছেন, বর্তমানে ইসরাইল নজিরবিহীন পরিস্থিতির শিকার এবং পতনের মুখে রয়েছে। দেশটির ৮০ বছর পূর্তির আগে তিনি বলেন, দেশ এখন পরীক্ষার মধ্যে রয়েছে এবং একে রক্ষা করা যাবে কি না সেটাই এখন ভাবনার বিষয়। স¤প্রতি সামাজিক মাধ্যমে এই বক্তব্য তুলে ধরেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী। ‘ইহুদিদের ঐক্যবদ্ধ রাষ্ট্র’ যে অতীতে দুইবার ভেঙেছে সে কথা উল্লেখ করে নাফতালি বলেন, ‘প্রথমবার এটি ঘটে রাষ্ট্র গঠনের ৮০ বছর পর এবং দ্বিতীয়বার ঘটে আরো ৭৭ বছর পর। এখন আমরা আছি তৃতীয় যুগে। আর সামনেই আমাদের ৮০ বছর পূর্তি হবে। আসল সময় এখনই। দেখি ইসরাইলকে আমরা পতন থেকে বাঁচাতে পারি কিনা।’ নাফতালি এ প্রসঙ্গে ইসরাইলের রাজনৈতিক অচলাবস্থা ও বারবার নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে, আমরা পঞ্চম নির্বাচনী প্রচারণার কাজে নেমেছিলাম। এর কারণে দেশ বিভক্ত হতে পারত। সে সময় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি থেকে ইসরাইলকে বাঁচাতে এবং এটি পুনরুদ্ধার করতে একটি জাতীয় ঐক্যের মন্ত্রিসভা গঠনের মতো একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমার অংশীদাররা সম্প‚র্ণ ভিন্ন মতের ছিল।’ অতীতে কোনো কোনো নেতা ও গবেষক হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, ইসরাইল বাইরের চাপ ছাড়াই ভেতর থেকেই নানা সঙ্কটের কারণে ভেঙে যেতে পারে। এদিকে অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও পূর্ব বায়তুল মুকাদ্দাস শহরের শত শত অবৈধ বসতিতে থাকা উগ্র ইসরাইলি অভিবাসীদের ওপর পরিচালিত এক সমীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, তাদের ৬৯ শতাংশই মনে করে যে ইসরাইলের ভবিষ্যৎ অন্ধকার এবং এ কারণে তারা উদ্বিগ্ন। ইসরাইল হাইয়োম নামের একটি দৈনিক এ সমীক্ষা প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, শতকরা ৩৩ শতাংশ ইসরাইলি যুবক নিরাপত্তা না থাকায়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও সামাজিক বিভাজনের কারণে অধিকৃত ফিলিস্তিন থেকে চলে যেতে চান। সমীক্ষা থেকে আরো জানা যায় যে, ৬৬ শতাংশ অভিবাসী ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনীকে বিশ্বাসই করেন না। আনাদোলু, মিডল ইস্ট মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।