পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাজেট অধিবেশনে বাজেট নিয়ে আলাপ-আলোচনা না করে সরকারের গুণকীর্তন করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মনোনীত সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, অল্প যে কয়জন বিরোধীদলীয় এমপি আছেন, তারা কথা বলে যান। কিন্তু তাদের কথা সরকারের কান পর্যন্ত পৌঁছায় না।
গতকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত ‘জন-বাজেট সংসদ ২০২২’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, একটি অগণতান্ত্রিক সরকারে কাছ থেকে কখনো একটি গণতান্ত্রিক বাজেট আশা করা সম্ভব না। কারণ তারা বাজেট নিয়ে জনগণের জবাবদিহিতার মুখোমুখি নয়। যাদের ওপর ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন করা হয়, তাদের দিকে দৃষ্টি না দিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থের কথা বিবেচনায় রেখে বাজেট প্রণয়ন করা হয়। এখানে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রয়োজনীয়তা কোনো বিবেচ্য বিষয় নয়। কারণ আগে থেকেই বাজেট নির্ধারিত হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, আমরা যদি স্বাস্থ্য খাতের দিকে তাকাই, দেখি অদক্ষতা আছে, অব্যবস্থাপনা আছে, দুর্নীতি আছে। সেগুলোকে সরিয়ে রেখেও যদি আমরা বরাদ্দের দিকে তাকাই, তাহলে দেখব স্বাস্থ্য খাতে মাথাপিছু রাষ্ট্রীয় ব্যয় এ মুহূর্তে দক্ষিণ এশিয়ার সর্বনিম্ন। বাংলাদেশের বাজেটের জিডিপির অনুপাতে মাত্র শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ রয়েছে। ১৭ কোটি মানুষের ন্যূনতম স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকার কতটা মনোযোগী, এটি তার একটি বড় উদাহরণ।
রুমিন ফারহানা বলেন, সরকার মনে করে বছরে কিছু বয়স্ক ভাতা, কিছু প্রতিবন্ধী ভাতা এবং কিছু সাহায্য করেই সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। বিষয়টি কিন্তু একেবারেই বাস্তবতা বিবর্জিত। চলতি বছরে কাগজে-কলমে ১ লাখ ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে সামাজিক সুরক্ষা খাতে। অথচ এতে যুক্ত আছে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের অবসর ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা এমনকি যে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে, সে ঋণের সুদও এর মধ্যে যুক্ত করা। এভাবে ফাঁকি দিয়ে সাধারণ মানুষকে ভালো রাখা সম্ভব না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর মমতাজ উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে ‘জন-বাজেট সংসদ ২০২২’-এ প্রধান অতিথি ছিলেন, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ও চেয়ারম্যান ড. এম এম আকাশ, রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আব্দুল মজিদ, দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।