বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সময় যতো বাড়ছে একে একে উদ্ধার হচ্ছে মরদেহ। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ জনে। এর মধ্যে আটজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী। অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়েছেন চার শতাধিক।
চিকিৎসকদের তথ্যটি নিশ্চিত করেন, চমেক হাসপাতালে কর্মরত সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. আলাউদ্দীন
তিনি জানান, এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে। এখনো আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কিছুক্ষণ পর পর বিস্ফোরণের কারণে আগুন নেভাতে সমস্যা হচ্ছে। ডিপোতে বিপুল পরিমাণ ‘হাইড্রোজেন পার অক্সাইড’ দাহ্য রাসায়নিক রয়েছে।
এদিকে ডিপোর ভেতরে থাকা পণ্যভর্তি কনটেইনারগুলো অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট কাজ করছে। আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধার তৎপরতায় সহযোগিতার কাজে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল।
শনিবার (৪ জুন) রাত নয়টার দিকে বিএম কন্টেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে আগুনের সূত্রপাত হয়। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কন্টেইনার থেকে অন্য কন্টেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। রাসায়নিক থাকায় একটি কন্টেইনারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, স্থানীয় শ্রমিকসহ অনেকে হতাহত হন। পুড়ে যায় ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়িও।
ধীরে ধীরে ফায়ার সার্ভিসের আরও ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেন। তবে ডিপোতে হাইড্রোজেন পারক্সাইড থাকার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা জানিয়েছেন ডিজি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।