প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
শুভশ্রী গাঙ্গুলি ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলা; একজন কলকাতার অভিনেত্রী, আরেকজন বাংলাদেশের। তবে কাজের সুবাদে তারা একে-অপরের দেশেও জায়গা করে নিয়েছেন, পরিচিতি পেয়েছেন। তাদের মধ্যে আরেকটি মিল হলো, দুইজনেই বিয়ে করেছেন নির্মাতাকে। টলিউডের হিট নির্মাতা রাজ চক্রবর্তীকে বিয়ে করেছেন শুভশ্রী, আর মিথিলা বিয়ে করেছেন খ্যাতিমান নির্মাতা সৃজিত মুখার্জিকে।
শুক্রবার (৪ জুন) পশ্চিমবঙ্গে সৃজিত ও রাজ দু’জনেরই সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। আর এই সিনেমাকে মুক্তিকে কেন্দ্র করেই দ্বন্দ্ব জড়ালেন নির্মাতাদ্বয়। সৃজিত মুখার্জি পরিচালিত নতুন সিনেমা ‘এক্স=প্রেম’। অন্যদিকে রাজ চক্রবর্তীর ‘হাবজি গাবজি’। এর মধ্যে রাজের সিনেমাটি প্রদর্শিত হচ্ছে নন্দনে। যেটা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অর্থায়ন ও ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয়। একই প্রেক্ষাগৃহে সিনেমা প্রদর্শনের জন্য আবেদন করেছিলেন সৃজিতও। কিন্তু তার আবেদন গৃহীত হয়নি।
এ কারণেই ক্ষেপেছেন সৃজিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নির্মাতা। লিখেছেন, ‘একই দিনে মুক্তি পাচ্ছে দুইটি সিনেমা। দুইজনেই নন্দন ১-এর জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু মাত্র এক জন ছাড়পত্র পেয়েছেন। আদর্শগত এবং ন্যায়সম্মতভাবে হয় দুইটি সিনেমাই ছাড়পত্র পাওয়ার কথা, নয়তো কেউ পাবে না। এটা কেন হলো? কারণ, যদিও সব সিনেমাই সমান, তবু কিছু সিনেমা অন্যদের তুলনায় বেশিই সমান।’
এদিকে গণমাধ্যমকে রাজ চক্রবর্তী বলেন, ‘নন্দনে কার সিনেমা বা কোন সিনেমা ছাড়পত্র পাবে, সেটা আমার জানার কথা নয়। সুতরাং এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।’
তবে সৃজিতের স্পষ্ট ইঙ্গিত রাজের রাজনৈতিক অবস্থানের দিকে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূলের বিধায়ক রাজ। এই সুবাদে তিনি প্রাধান্য পেয়েছেন, এমনটাই সৃজিতের ধারণা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।