প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
ছোটপর্দার পরিচিত মুখ অপরাজিতা আঢ্য ইদানীং বড় পর্দায় পার্শ্বচরিত্রেও থাকছেন। নিজেকে নিয়ে কোনো রাখঢাক নেই এই অভিনেত্রীর। স্কুলজীবন থেকে অভিনয় জীবন নিয়ে অনায়েসে কথা বলেছে জি বাংলার একটি শো- তে। সেই শো- তে প্রশ্ন করা হয়েছিল বড় পর্দা থেকে কেন ছোট পর্দা বেছে নিলেন? উত্তরে অভিনেত্রী জানান, ভারী চেহারা নিয়ে কটুকথা এবং ‘কাস্টিং কাউচ’ তাকে বড় পর্দা থেকে সরিয়ে আনে।
নায়করা তাকে নিয়ে হাসা-ঠাট্টা করতো।ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম দিকে নায়িকা চরিত্রের প্রস্তাব পেয়েছেন। কিন্তু সঙ্গে কুপ্রস্তাবও এসেছে প্রযোজকের কাছ থেকে। তখনই অপরাজিতা ঠিক করেন, তিনি ছোট পর্দাতেই নিজেকে মেলে ধরবেন। কারণ, ছোট পর্দা থেকে কোনদিন এই ধরনের আপত্তিকর প্রস্তাব পাননি তিনি।
পরে ধীরে ধীরে বদলেছে বাংলা বিনোদন দুনিয়া। ছবি বানাতে এগিয়ে এসেছেন ছোট পর্দারই পরিচালক, প্রযোজকেরা। ফলে পরিবেশ বদলেছে। তখন অভিনেত্রীও একের পর এক অভিনয় করেছেন নানা স্বাদের ছবিতে। যত ছবির গল্পের ধারা বদলেছে, ততই নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ মিলেছে।
যেমন, উইন্ডোজ প্রোডাকশনের ‘প্রাক্তন’। নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের এই ছবিতে তিনি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী ‘মালিনী’র ভূমিকায়। পর্দায় প্রসেনজিতের ‘প্রাক্তন’ ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ওরফে ‘সুদীপা’। দর্শক এবং সমালোচক মহলে ঋতুপর্ণার থেকেও কিন্তু অপরাজিতার অভিনয় বেশি প্রশংসিত এবং জনপ্রিয় হয়েছিল। অপরাজিতা এর পুরো কৃতিত্বই অবশ্য দিয়েছেন নন্দিতা-শিবুকে। তার কথায়, ‘এই পরিচালক জুটি যে ভাবে আমায় নিয়ে ভেবেছেন, আর কেউ সেটা করেননি। ফলে ওদের ছবিতে অভিনয় মানেই আমি অন্য রকম হয়ে যাই।’
অভিনেত্রী স্বীকার করেছেন, তিনি ‘বেলাশেষে’-তে অভিনয় করতেই রাজি হননি। তখন তিনি ছোট পর্দাতেই মশগুল। ছবির প্রযোজক অতনু রায় চৌধুরী শেষে বুঝিয়ে সুঝিয়ে রাজি করান তাকে। বলেন, এই ছবি বক্স অফিসে ইতিহাস তৈরি করবে। অন্য মাত্রা পাবে তোমার অভিনয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।