Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৩০ বছরের মধ্যে প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করছে

শত শত বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে মিয়ানমার, দাবি গ্রামবাসীর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ জুন, ২০২২, ১২:০৪ এএম

৩০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো বিচারিক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে যাচ্ছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। দেশটির ক্ষমতাচ্যুত নেতা অং সান সু চির দলের সাবেক সদস্য ফিও জেয়া থাওসহ চার জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে বলে জান্তার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এএফপিকে মুখপাত্র জাও মিন তুন বলেছেন, সাবেক এমপি ফিও জেয়া থাও এবং গণতন্ত্র কর্মী কো জিমিসহ চারজনের ‘মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, কারাগারের পদ্ধতি অনুসারে তাদের ফাঁসি দেওয়া হবে।’ গত বছর ক্ষমতা দখলের পর ভিন্নমতের বিরুদ্ধে দমন-পীড়নের অংশ হিসেবে সামরিক জান্তা কয়েক ডজন অভ্যুত্থানবিরোধী কর্মীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। কিন্তু মিয়ানমার কয়েক দশক ধরে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেনি।অং সান সুচির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির সদস্য ফিও জেয়া থাও গত নভেম্বরে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় জানুয়ারিতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। বিশিষ্ট গণতন্ত্র কর্মী কিয়াও মিন ইউ, যিনি জিমি নামে বেশি পরিচিত, তাকেও মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে সামরিক ট্রাইব্যুনাল। অপর এক খবরে বলা হয়, মিয়ানমার সরকারের সেনারা দেশটির উত্তরাঞ্চলে তিন দিনের এক অভিযানের সময় শত শত বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে বলে দাবি করেছেন গ্রামবাসী। সেনা শাসনের বিরোধীদের গুঁড়িয়ে দিতে এই অভিযান চালানো হয়। গত বছরের অভ্যুত্থানের পর থেকে সাগাইং অঞ্চলে ভয়াবহ যুদ্ধ এবং রক্তক্ষয়ী প্রতিশোধ দেখা যাচ্ছে। স্থানীয় ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’ (পিডিএফ) সদস্যরা নিয়মিতভাবে জান্তা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, অপ্রশিক্ষিত যোদ্ধারা জান্তা বাহিনীকে বিস্মিত করছে। এছাড়া বেশ কয়েকবারই স্থলবাহিনীকে সহায়তা দিতে বিমান হামলা চালাতে বাধ্য হয়েছে জান্ত সরকার। গ্রামবাসী জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে তিন দিনের অভিযানের সময় কিন, আপার কিন এবং কে তং গ্রামের শত শত বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে জান্তা সরকারের সেনারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, গত ২৬ মে সেনা সদস্যরা গুলি ছুড়তে ছুড়তে আগাতে শুরু করলে কিন গ্রামের মানুষ পালাতে শুরু করে। তিনি বলেন, ‘পরদিন সকালে গ্রাম থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখি, পরে তারা চলে যায়। দুইশ’র বেশি বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে... আমার বাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে, কেবল কংক্রিট পড়ে আছে।’ কে তং গ্রামের বাসিন্দা আয়ে তিন বলেন সেনারা অভিযান চালিয়ে আমাদের বাড়িঘর ধ্বংস করে দিয়েছে। এএফপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ