মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় তলব করেছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এর মধ্যেই বিজেপির তীব্র আক্রমণের মুখে পড়েছে গান্ধী পরিবার।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) গেরুয়া শিবির ফের গান্ধী পরিবারকে সামনে এনেছে। তারা অভিযোগ করে বলেছে, গান্ধী পরিবার বিশ্বের ‘সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত’ পরিবার। সেই সঙ্গে সোনিয়া ও রাহুলকে ইডি’র তলব নিয়েও মুখ খুলেছে তারা।
কংগ্রেসকে উদ্দেশ করে বিজেপি বলেছে, গান্ধী পরিবারের সদস্যদের জন্মগত অধিকার নয় যে তদন্ত সংস্থাগুলো তাদের দুর্নীতির মামলায় আইন অনুসারে তলব করতে পারবে না। আর্থিক দুর্নীতি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি তলব করার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার দলের বিরুদ্ধে ‘কাপুরুষোচিত ষড়যন্ত্র’ করার অভিযোগ তুলে কংগ্রেস। এরপরই বিজেপির পক্ষ থেকে এমন মন্তব্য সামনে এলো।
বিজেপির মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া কংগ্রেস নেতৃত্বের ওপর পাল্টা চড়াও হয়েছেন। গান্ধী পরিবারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, শুধু ভারতে নয়, বিশ্বে যদি সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত পরিবার থাকে, তবে তা হলো গান্ধী পরিবার। তার আরও অভিযোগ, ভারতের মানুষ পরিবারটিকে বিশ্বাসের সঙ্গে দেখত কিন্তু তারা দেশকে লুট করার চেষ্টা করেছিল।
বিজেপি মুখপাত্রের কথায়, কংগ্রেসের দেশকে বলা উচিত যে সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল উভয়ই দুর্নীতির মামলায় জামিনে রয়েছেন (ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা)। বিজেপি নেতারা বলেন, শুধু তারাই নয়, সোনিয়া গান্ধীর স্বামী রবার্ট ভাদ্রাও আগাম জামিন পেয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে জমির লেনদেনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
গৌরব ভাটিয়া বলেন, সোনিয়া গান্ধী বা রাহুল কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন। এটি সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। তার কথায়, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ লোকদের ভয় পেতে হবে এবং আইনের সামনে মাথা নত করতে হবে এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করতে হবে। ক্ষমতাসীন বিজেপির নির্দেশে বিরোধী দলের ওপর কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলোর হামালা চালাচ্ছে- কংগ্রেসের এমন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন তিনি।
যদিও বিজেপির এসব কথাকে পাত্তা দিতে নারাজ প্রাচীন দলটি। কংগ্রেস জানিয়েছে, তারা এই ধরনের ‘প্রতিহিংসার’ রাজনীতিতে ভীত হবে না এবং ‘আইনি, সামাজিক এবং রাজনৈতিকভাবে’ কঠোর লড়াই করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।