Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যুক্তরাষ্ট্রে এবার মেডিকেল সেন্টারে বন্দুক হামলা, অভিযুক্তসহ নিহত ৫

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০২২, ১০:১৬ এএম

যুক্তরাষ্ট্রে একটি মেডিকেল সেন্টারে বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন চারজন। পরে অভিযুক্ত হামলাকারী নিজেও নিহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যের তুলসা শহরে একটি মেডিকেল সেন্টারের ভেতরে স্থানীয় সময় বুধবার (১ জুন) রাইফেল ও হ্যান্ডগান নিয়ে সশস্ত্র এক ব্যক্তি হামলা চালানোর পর প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।
মার্কিন পুলিশের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (২ জুন) এক প্রাতবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেন্ট ফ্রান্সিস হাসপাতাল ক্যাম্পাসের বাইরে তুলসার ডেপুটি পুলিশ প্রধান জোনাথন ব্রুকস সাংবাদিকদের বলেন, অভিযুক্ত বন্দুকধারীও মারা গেছেন। মূলত আত্মঘাতী আঘাতের কারণেই প্রাণ হারিয়েছেন ওই অভিযুক্ত।
ব্রুকস আরও বলেছেন, পুলিশ হামলাকারী লোকটির পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছে। তার বয়স ৩৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রয়টার্স বলছে, মেডিকেল সেন্টারে গোলাগুলির বিষয়ে ফোনকল পাওয়ার তিন মিনিট পর কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এর পাঁচ মিনিট পর সেখানে হামলার শিকার কয়েকজন ব্যক্তি ও সন্দেহভাজন হামলাকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন তারা। অভিযুক্ত বন্দুকধারীর হাতে একটি রাইফেল ও একটি হ্যান্ডগান ছিল।
তুলসা শহরের মেয়র জি.টি. বাইনুম হামলার খবর পাওয়ার পরপরই ব্যবস্থা নেওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রতি নিজের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
বার্তাসংস্থাটি আরও জানিয়েছে, মেডিকেল সেন্টারের নাটালি বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় বন্দুক হামলার এই ঘটনা ঘটে। যেখানে একটি অর্থোপেডিক সেন্টার-সহ ডাক্তারের চেম্বার রয়েছে।
তুলসার আরেক উপ-পুলিশ প্রধান এরিক ডালগ্লিশ বলেছেন, হামলায় নিহতদের মধ্যে কর্মচারী ও রোগীরাও রয়েছেন বলে মনে করছেন তিনি।
এদিকে সর্বশেষ এই বন্দুক হামলার ঘটনা পৌঁছেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কানেও। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বন্দুক হামলার বিষয়ে জানানো হয়েছে। এছাড়া হামলার পর বিদ্যমান পরিস্থিতিতে তুলসার রাজ্য ও স্থানীয় কর্মকর্তাদের সহায়তার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, তুলসা শহরটি ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যের রাজধানী ওকলাহোমা সিটি থেকে প্রায় ১০০ মাইল (১৬০ কিলোমিটার) উত্তর-পূর্বে অবিস্থিত। শহরটিতে প্রায় ৪ লাখ ১১ হাজার মানুষ বসবাস করেন। সূত্র : রয়টার্স।



 

Show all comments
  • আলহাজ্ব ম নাছিরউদ্দীন শাহ ২ জুন, ২০২২, ১১:৩৮ এএম says : 0
    আমেরিকা প্রতিদিন শিরোনাম হচ্ছে অসভ্যতা বিশৃঙ্খলা খুনের জন্যে। নিরাপত্তা নেই কোন মানুষের স্কুল কলেজ মসজিদ হাসপাতাল শপিংমল ঘরে বাহিরে যে কোন সময় ঘাতকদের অস্ত্র ঝাঝরা করে দিতে পারে যে কাওকে।সম্পূর্ণ নিরাপত্তাহীন বিশৃঙ্খলার অভিশপ্ত জাতীয় পরিণত হচ্ছে।নৈতিকতা একেবারে ধ্বংস সামাজিক পারিবারিক শিক্ষা নেই বললেই চলে। আবার করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা লাখের উপরে যুক্তরাষ্ট্রে। দল লাখের উপরে মৃত্যু এবং আটার লক্ষ আমেরিকান কঠিন অবস্থায় কোটি কোটি আক্রান্ত হয়েছিল। এইসব কিসের আলা মত। গজবে আজাবে অভিশাপে আমেরিকার এই অবস্থা কত নিষ্ঠুর জঘন্যতম বর্বরতা ছালিয়েছিল আফগানিস্তান আমেরিকা লক্ষ লক্ষ নিরহ মানুষ কে নির্বিঘ্নে নির্বিচারে হত্যা করেছিল। এইটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র ইরাকের উপর নজির বিহীন ভয়ানক হত‍্যাকান্ড বর্বরতা লক্ষ লক্ষ নারি শিশু মানুষের কে হত‍্যাকরে গোটা ইরাক আফগানিস্তানে মাঠিকে কবরস্থানের মত পরিণত করে। ইহুদি কাফের দিয়ে ফিলিস্তিনের উপর দিনরাত হামলার পর হামলা গাজা অবরোধ মুসলমানদের প্রথম কেবলা বাইতুল মোকাদ্দেসের বিতরে চরম অবমাননাকর ঘটনা লাখ লাখো ফিলিস্তিন কে হত্যা। এই জঘন্যতম নিষ্ঠুর ঘটনার প্রকাশ‍্যে অস্ত্রদাতা অর্থদাতা আমেরিকা। পৃথিবীর একমাত্র দেশ আমেরিকা একক পরাশক্তি হয়ে। পৃথিবীতে অশান্তির যতরকম চক্রান্ত কৌশল আছে ইসরাইল আমেরিকা করে যাচ্ছে। গজব আজাব শুরু হয়েছে এইগুলো কার নির্দেশনায় হচ্ছে। পেন্টগন যুক্তরাষ্ট্রের রাডার সিষ্টেম অকেজো হয়ে পৃথিবী অবরোধ হয়ে গিয়েছিল কার ইশারায়?ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের জন্যে দায়ী এই আমেরিকা। কোটি কোটি ডলারের অস্ত্র বানিজ‍্যের জন‍্যেই যুদ্ধ। চীন রাশিয়ার ইরান কে অবরোধ পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের জীবন কে হুমকির মধ্যে পেলে দিয়েছে খাদ্য সংকটে পৃথিবী। দায়ী একমাত্র আমেরিকা। গোটা মধ্যপ্রাচ্যেকেই ধ্বংস করেদিচ্ছে আমেরিকা একটি মাত্র স্বার্থ ইহুদি কাফের স্থায়ী করা। পৃথিবীর কঠিন সময় সত্য বলা মানুষ গুলোকে অনেকে ব‍্যায়াকল মনে করবে ঘৃণা করবে। পরিস্থিতি কঠিন থেকে আরও কঠিন হবে গজবী ভাইরাস অজানা ভাইরাস পৃথিবীতে আন্তর্জাতিক গন মাধ্যমে শিরোনাম হচ্ছে। আমেরিকার কঠিন পরিণতির চিত্র তাদের জঘন্যতম জুলুম নির্বচারে মানুষ হত্যার বিচার হচ্ছে। ইরাকের বিরুদ্ধ জীবাণু অস্ত্রের মিথ্যা অজুহাতে ভয়ানক হামলা করে ইরাকে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে ইরাকের প্রেসিডেন্ট কে ইদুল আযহার দিনে কোরবানের দিনে নৃশংসভাবে হ্নদয় বিদারক ফাসি দিয়ে ছিলো নিষ্ঠুর যুক্তরাষ্ট্রে পৃথিবীর দুইশত কোটি মুসলমান আমেরিকার ভয় চুপ ছিলো। আমেরিকা ইসরাইল মুসলমানদের শক্ররা অনিবার্য ধ্বংস হবে মহাপরাক্রমশালী আল্লাহর জমিনজুড়ে সমস্ত অন‍্যার অত‍্যাচার জুলুম নির্যাতনের বিচার হচ্ছে হবে। মহা বিচারপতি আল্লাহর থেকে কেও রেহাই পাবেনা। ক্ষুদ্র ক্ষনস্থায়ী জীবনের জন্যে আখেরাতের কথা ভুলে যাওয়াই আজকের এই কঠিন অবস্থা। আমেরিকার জীবন আমেরিকার গনতন্ত্র আমেরিকার নীতি এই মুহুর্তে পৃথিবীর মানুষের কাছে পরিস্কার। জুলুম অত‍্যাচার করে পৃথিবীতে অশান্তি করে নিজে সুখে থাকা যায় না। আমেরিকা বা যুক্তরাষ্ট্রের একের পর এক ঘটনা তাই প্রমাণিত ।চলবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ